“করোনায় আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা” ——–জাঁ-নেসার ওসমান


বিশ্বগ্রাসী করোনা ভাইরাস বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাতেও আক্রমণ করেছে।
এ কোন করোনাকাল, মানুষ, মানে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোভিড-১৯ র্হোই দি্েচ্ছনা, ভালো কথা কিন্তু তাই বলে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতাকে এ্যাটাক করবা এইডা কি কথা!!
বড় আক্ষেপ করে কবি শামসুর রাহমান বলেছিলেন,“ অদ্ভুত এক উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ…”
এখনতো দেখি উট না ভাই, অদ্ভুত এক করোনার পিঠে চলেছে স্বদেশ, মানে ওয়ারী আর কি ।
কেন ভাই আর্ন্তজাতিক করোনা আপনাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, ভাতার কি… মারছে যে আপনি করোনার দোষ দিলেন??
কেন, আপনি জানেন না ? করোনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পি.. মেরে বসেছে?
মানে? মানে?
মানে? মানে? কইরেন না শোনেন তাহলে:
ঢাকা জেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার স্বংখ্যা ৫,৫৫৪(পাঁচ-হাজার পাঁচ’শ চুয়ান্ন জন), ইঁনাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বছরে. প্রায় টা:৭৯,৯৭,৭৬,০০০/-( উনআশি কোটি, সাতানব্বই লক্ষ, ছিয়াত্তর হাজার) টাকা মাত্র।
আবার ঈদ বোনাস.উৎসব ভাতা মিলে আরো প্রায় টা: ৬,৬৬,৪৮,০০০/-( ছয় কোটি ছেষট্টি লক্ষ,আট-চল্লিশ হাজার) টাকা মাত্র, সর্ব সাকুল্যে টা; ৮৬,৬৪,২৪,০০০/-(ছিআশি কোটি, চৌঁষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার) মাত্র।
প্রতি বছর এই টাকাটা মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয় যা কিনা, “ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)” উনি ঢাকার ডিসি অফিস থেকে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ্যকাউন্টে টাকাটা পাঠিয়ে দেন।
এ তো নর্মাল দাপ্তরিক ব্যাপার, তো এখানে করোনার কি প্রভাব! আর্শ্চায্য!!
আরে অর্ধৈয্য হয়েন না হুনেন,ঘটনাটা কি।
তো ঘটনাটা কি?
এই যে হুনলেন, বছরে, ছিআশি কোটি, চৌঁষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকার লেন দেন, তো এই লেন দেন কি মাগনা মাগনা হইবো ?
জ্বী না, ছিআশি কোটি, চৌঁষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকার লেন দেন তো মাগনা মাগনা হবে বলে মনে হয় না, যদিও প্রাক্তন অর্থ-মন্ত্রী বলেছিলেন টা:৪,০০০০,০০০০০০/-( চার হাজার কোটি টাকা) কিছুই না।
তবুও মনে হয় ছিআশি কোটি, চৌঁষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা এমনিতে বছর বছর ছাড় হবে না!!
জ্বী, এতোক্ষণে অরিন্দম কহিলো বিষাদে, জানিনু কেমনে করোনা আসিয়া পষিলো মুক্তিযোদ্ধার ভাতায়।
এ কি রে , তোর ছন্দ দেখে তো ম্ইাকেল আবার মুক্তিযূদ্ধ ঘোষণা করবে।
মাইকেলের কথা বাদদেন আমাগো “ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)” কি করছে হুনেন।
কিন্তু শোন আমি যতদুর জানি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো পোষ্ট নেই,
“ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)”!
নাই তো কি হইছে, আমি এই নামে কার্ড ছাপাইছি, পারলে ঠেকান।
আচ্ছা বুঝলাম তুই কার্ড ছাপিয়েছিস “ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)”
তো করােনার সাথে এর সম্পর্ক কি? কি? কি?
আরে মজা তো ওই খানেই।
আগে মানে করোনার আগে সবাই মানে মুক্তিযোদ্ধারা “ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)” স্যারের অফিসে আসতেন আর বিভিন্ন উপহার, উপঢৌকন, উৎ.. না না উৎপাটন নয়, মাল পত্র দিতো আর কি।
এখন করোনার কারনে মুক্তিযোদ্ধারা আর অফিসে আসেন না, ফলে স্যার আর বিভিন্ন উপহার, উপঢৌকন পান না, ফলে ঢাকার ডি সি অফিস থেকে চেক আনার উৎসাহ পান না, আর মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় তিন মাস হইলো ভাতা পান না!! ফলে দোষ কার, হালা ্ওই করোনার।
করোনা না হইলে “ইন চার্জ অব ফ্রীডম ফাইটার এ্যলাউন্স(ঢাকা জেলা)” বিভিন্ন উপহার, উপঢৌকন নিয়মিত পাইতো আর মুক্তিযোদ্ধারাও তাদের ভাতা পাইতেন।
বলিস কিরে দেশের সূর্য্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের থেকেও মাল খায়?
মাল খাইবো না ক্যেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত তো কোইছে, স্পীড্ মানি দেন, আর কাম করায়া নেন।
ছি: ছি: এটা ঠিক না, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে, পাকিস্তানে তো তোর ওই অফিসার পিওনের চাকরিও পেতো না।
ভেরী অন্যায় ভেরী অন্যায়। যে সকল র্সূয্য সন্তানরা প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করলো, তাদের সাথে এই অন্যায়, অল্লাহ্ তায়ালা সহ্য করবো না রে!! অন্যায় ভেরী অন্যায়।
কি অন্যায় অন্যায় করতাছেন, জাষ্ট কোভিড-১৯ এর করাল থাবায় আজ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাও আক্রান্ত।
পুরা কোভিডের দোষ।
জানিনা সামনে করোনা আরও কারে কারে খাইবো!!
দেখি আগে আগে আরো হোতা হ্যায় ক্যায়া…
জয় বাংলা

(একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাষ্য)

Share: