বঙ্গবন্ধু ঐতিহ্য সংরক্ষণে জোর দিতেন : ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৪০ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য সহকারী অধ্যাপক বাবু রণজিৎ মল্লিক ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা আক্তার।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন বিশ্বাস, বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস নাঈমা ফেরদৌস, মিসেস পারভীন আক্তার ও গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেত্রী মিসেস সংগীতা বিশ্বাস, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাদিয়া হালিমা, শাকিব হোসেন ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর একদল শিক্ষার্থী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহ্য সংরক্ষণে জোর দিতেন।

সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক রণজিৎ মল্লিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একটি জাতির সামগ্রিক সত্তায় গড়ে ওঠা মানুষ । মানব জীবনে যে সমগ্র জুড়ে ইতিহাসের ছোঁয়া থাকে বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই পেয়েছেন এবং তা ধারণ করেছেন। ১৯৪৯ এর পর থেকে তার ধ্যান জ্ঞান পূর্ব বাংলার মানুষের জন্য ছিল। বাংলার ঐতিহ্যের প্রতি তার টান জোরালো এবং সমগ্র ঐতিহ্যকে তিনি কখনো ভুলেননি। ১৯৫৫ সালে একটি ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের নামের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “পূর্ব পাকিস্তানের নাম পূর্ব পাকিস্তান না বরং পূর্ব বাংলা হওয়াকে আমি সমর্থন করি”।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষার সাথে সংস্কৃতিসহ সমগ্র প্রপঞ্চকে তিনি রাজনীতির সাথে সংযুক্ত করেছেন হাজার বছরের বাংলা ঐতিহ্যকে ধারণ করেছেন এবং তার ভিত্তিতে রাজনীতির আদর্শকে গড়ে তুলেছেন। যার জন্য তার এই রাজনৈতিক আদর্শ বাংলার মানুষের মনে এমনভাবে গেঁথে রয়েছে। মানুষ নির্বিধায় প্রাণ দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান বলেন, জাতির পিতা মানুষকে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু এ সম্পর্কে বলেন, “মানুষকে ভালবাসলে মানুষও ভালোবাসে মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারলে মানুষ জীবনও দিতে পারে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসেস নাঈমা ফেরদৌস বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপ্রধান ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির রূপকার , বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান ।

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জাতি কিভাবে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে সেই ছক এঁকে গেছেন।

 

বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা

পারভিন আক্তার বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে ত্যাগী হওয়ার মন্ত্র শিখবো।

 

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বলেন,১০ই জুন ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় ছাত্রলীগের কমিটির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানই হবে প্রথম কাজ”।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায় জাতির পিতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

Share: