২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছি-অধ্যাপক মেসবাহ কামাল

ড.দিপু সিদ্দিকী:২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। তিনি ২৫ মার্চ ২০২৪, সোমবার সকাল ১১:০০ টায় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র তেজগাঁওয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক  আলোচনা সভায় এ দাবি জানান।

২৫ মাস গণহত্যা এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন টিভি চ্যানেল ডিবিসি’র সিইও ও প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে

আলোচনায় অংশ নেন শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড.প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল (বিচ্ছু জালাল) ও রয়েল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুশফিকুর রহমান।

কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল

জীবন্ত কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসা বিচ্ছু জালালের বর্ণনা শুনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নয়ন অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়ে।

মনজুরুল ইসলাম বলেন, ২৮ বছর এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ,২৫ মার্চে গণহত্যা শেষ হয়নি। ২৫ মার্চে মূলত গণহত্যার সূচনা হয়েছিল।

 

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড.মেসবাহ কামাল, উপাচার্য রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য অধ্যাপক ড.মেসবাহ কামাল বলেন, ২’শ চৌদ্দ বছরের গোলামীর ইতিহাস জানতে হবে এবং জানাতে হবে কিভাবে এবং কার নেতৃত্বে এই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। অধ্যাপক কামাল গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানান।রণাঙ্গনের গেরিলা ফাইটার বিচ্ছু জালাল,তারামন বিবি, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরদের বীরত্বগাথা আমাদের জানতে হবে। তিনি আরো বলেন,সমাজ এবং ইতিহাস বিচ্ছিন্ন বিজ্ঞান দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নেয়া যায় না। সকল শিক্ষার্থীকেই বাংলাদেশ, বাংলা সাহিত্য এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে হবে। অধ্যাপক কামালের ২৫ মার্চের নৃশংস হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনায় উপস্থিত দর্শক শ্রোতাবৃন্দ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

অধ্যাপক ডক্টর প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার উপদেষ্টা রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা

অধ্যাপক ড.প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, পৃথিবীতে আমরাই প্রথম গণহত্যার শিকার হয়েছিলাম। তিনি বলেন, পাকিস্তানি জান্তা তিন মিলিয়ন মানুষকে নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দুই মিলিয়ন মা-বোনদের নির্যাতন করেছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।

আলোচনা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র ইংরেজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মালবিকা মজুমদার। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share: