বাংলাদেশের একুশ, বিশ্ব একুশে পরিণত- কৃপানাথ মালাহ, এমপি

স্টাফ রিপোর্টার:ভারতের লোকসভার এমপি জননেতা কৃপানাথ মালাহ, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের আমন্ত্রণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় অমর একুশে বইমেলা’ পরিদর্শন, বঙ্গীয়’র স্টল চত্বরে বিশ্বপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বাংলা একাডেমি’র মহাপরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ , আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি সাথে প্যাভিলয়নে মতবিনিময়, রমনা কালী মন্দিরের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন।

বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মাতৃভূমি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন উল্লেখযোগ্য। এ সময়‌ বিভিন্ন স্টলের দায়িত্বরতদের সাথে সৌজন্যমূলক মতবিনিময় করেন।

বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের ৮৫১ নং স্টল চত্বরের বঙ্গীয়’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় শ্রীকৃপানাথ মালাহ বিশ্বপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের একুশ, বিশ্ব একুশে পরিণত- কৃপানাথ মালাহ, এমপি
বাংলাদেশের একুশ, বিশ্ব একুশে পরিণত- কৃপানাথ মালাহ, এমপি – ডেইলি প্রেসওয়াচ

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্ব একুশে পরিণত হয়েছে। সকল ভাষার, সকল জাতি ও ধর্মের মানুষের সাথে সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংস্কৃতি অনন্য অবদান রাখে। জ্ঞানশীল মানুষই শান্তির বিশ্ব সৃষ্টি করতে পারে। অমর একুশে বইমেলা মানুষের প্রাণের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। এই মেলা সৃজনশীলতা ও জ্ঞানের মেলা। বঙ্গীয়’র অসীমান্তিক অভিযাত্রার সাথে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের, বিভিন্ন জনজাতির ভাষা সংস্কৃতির লেখক শিল্পী, গবেষকের মৈত্রী ও ঐক্য গড়ে উঠুক।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গীয়’র কার্যক্রম বিস্তৃত পরিসরে করার ক্ষেত্রে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরল ইতিহাসের সাথে ভারতের সরকার ও জনগণের সম্পর্ক গভীর এবং ঐতিহাসিক। আমি আশাবাদী, আঞ্চলিক শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় লেখক শিল্পীবৃন্দ কার্যকর ও পরিপূরক ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।

 

বঙ্গীয়’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, শ্রীকৃপানাথ মালাহের আগমন বঙ্গীয়’র ‘বিশ্বসভা’র অভিযাত্রাকে সফল করবে। সকল জনজাতির সকল ভাষার লেখক শিল্পীর মিলন উৎসব হবে ‘বিশ্বসভা’য়। ভারতের সরকার ও জনগণের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

 

সন্ধ্যা ৭টায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা’র দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় অতিথিকে উত্তরীয় পরিধান এবং প্রাণের মেলায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটি তিনি উপহার দেন। উভয়ই পারস্পরিক বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক উত্থাপন করেন।

 

রাত ৭.৪৫ টায় আগামী প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি এবং শ্রীকৃপানাথ মালাহ বইমেলাকে ভারতের সাথে কিভাবে সংশ্লিষ্ট করা যায়, তা নিয়ে আলোকপাত করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বইমেলায় বাংলাদেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের আহবান জানান।

 

রাত সাড়ে ৮.৩০টায় রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের সরকারের প্রতি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

 

ভারতের লোকসভার এমপি কৃপানাথ মালাহ’র আগমন ও অবস্থানের সময়ে তাঁর দূরদর্শী মন্তব্য অসাধারণ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কবি লেখক তাঁদের প্রকাশিত বই তাঁকে উপহার দেন। বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম খান অতিথিকে বঙ্গীয় থেকে প্রকাশিত ‘ বঙ্গোত্তম শেখ হাসিনাকে নিবেদিত কবিতা’ সংকলন গ্রন্থ, এবং কামরুল ইসলামের লেখা বাঙালির আত্মপরিচয় ও অন্যান্য (গবেষণা গ্রন্থ) এবং কালের নটরাজ ( কাব্যগ্রন্থ) উপহার দেয়া হয়। এছাড়া অতিথিকে বঙ্গীয়’র অভিনন্দন স্মারক প্রদান করা হয়।

Share: