বঙ্গবন্ধু নির্ভীকচিত্তে দুর্যোগ মোকাবেলা করতেন : ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৪৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক আবু সালেক খান এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কুষ্টিয়া থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও শিল্প উদ্যোক্তা আমাতুন নূর শিল্পী, ও মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি গবেষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র ইনস্টিটিউট অফ লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন,বঙ্গবন্ধু নির্ভীকচিত্তে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতেন।তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু একটি সুসংহত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কথা বলেছিলেন; যা আমরা পরবর্তীকালে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচিতে লক্ষ্য করি।ড.কলিমউল্লাহ্ আরো বলেন, যখনই প্রাকৃতিক কিংবা রাজনৈতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে তখনই বঙ্গবন্ধু নৌকায় চড়ে ও হেঁটে দুর্গম এলাকার প্রান্ত থেকে প্রান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন, জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু অসংখ্য সভায় উজ্জীবিত ভাষণ দিয়েছেন, জনগণের মনোবলকে উদ্দীপ্ত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু নির্ভীকচিত্তে দুর্যোগ মোকাবেলা করতেন : ড.কলিমউল্লাহ

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর স্কুল ছাত্রজীবন থেকেই শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দুর্দশা দেখে তাঁর কিশোর হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়েছে। নিজ ডায়েরিতে তিনি লিখেছেন- ‘এই সময় শহীদ সাহেব লঙরখানা খোলার হুকুম দিলেন। আমিও লেখাপড়া ছেড়ে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম। অনেকগুলি লঙরখানা খুললাম। দিনে একবার করে খাবার দিতাম’ (‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, পৃষ্ঠা ১৮)। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, গবেষক আবু সালেক খান, গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, গবেষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও আমাতুন নূর শিল্পী।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Share: