প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার, ২৯, সেপ্টেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪২৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,গোপালগঞ্জস্হ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর, কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর ।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তিতে জাতির পিতার জীবনভর সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তির জন্য বহু বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন , সেগুলো আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে অনুসরণ করার পাশাপাশি কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সৎ, সাহসী ও আপসহীন। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিকরা অন্যায়ের সাথে আপস করতে পারেন না ।যারা আপোষ করছেন, যারা দুর্নীতি করছেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারেন না।
আমাতুন নূর বলেন, আমরা মুজিবভক্ত সৈনিকরা দুধের মাছি মুক্ত আওয়ামীলীগ চাই। নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু যেভাবে, যে আদর্শে দলকে গড়ে তুলেছিলেন সে পথেই আওয়ামী লীগ পরিচালিত হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই প্রকৃত মুজিবভক্তদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন,বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার মূল কেন্দ্ৰবিন্দুই ছিলো বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।
ফারহানা আকতার বলেন,পশ্চিম পাকিস্হান সরকার বার বার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও পূর্ব-পাকিস্হানে বাংলাকেই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবীতে তৎকালীন “সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও শেখ মুজিবুর রহমান” তাঁর সমসাময়িক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়ে পূর্ব -বাংলার বিশিষ্ট মনীষী ও বুদ্ধিজীবিদেরকেও এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন ৷
গোলাম মূর্শিদ অর্ণব বলেন,বঙ্গবন্ধু সবসময় চিন্তা করতেন একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি এবং প্রযুক্তি নির্ভর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী,যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।