প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:শুক্রবার,১৬, সেপ্টেম্বর, সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪১০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা তাসলিমা ফেরদৌস, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, এশিয়ান টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রলি, কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে হুমায়ুন কবির ও পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শান্তিস্বাপ্নিক। তাঁর শান্তির অন্বেষা শুধু দেশের গণ্ডিতে নয়, বরং তা বিস্তৃত ছিল সাড়া বিশ্বজুড়ে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বিশ্ব মানচিত্রে বাংলা ও বাঙালির জাতিসত্তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা
এবং বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে গণমানুষকে ভালোবেসে ক্ষণজন্মা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে গেছেন। অথচ বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও বাঙালিজাতীয়তাবাদ চর্চা আজ উপেক্ষিত। বাঙালি জাতীয়তাবাদের মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে ব্যর্থ হলে দুঃখজনক পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে গোটা জাতিকে ।
তাসলিমা ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ, তিতিক্ষা, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বাঙালির জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।
প্রশান্ত কুমার বলেন,বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোগোড়ায় পৌঁছে দিতে।
আর্জিনা খানম বলেন,শোষণ, বৈষম্য ও কূপমন্ডুকতাহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আমাতুন নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাস্ত হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি।
ফারহানা আকতার নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ ” শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রধান চারটি মূল নীতির কথা সংবিধানে উল্লেখ করেছেন সেই অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রটিকে পরিচালনা ও গড়ে তোলার কথা বলেছেন, সেই অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না হলেও বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের দর্শন, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও জীবনাচারণে চর্চা করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রফিকুল ইসলাম রলি, খাদেমুল ইসলাম।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশলী শাফিউল বাশার,সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল,রাজশাহী থেকে ডা. এবিএম মাহাবুবুল হক, লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বায়েজিদা ফারজানা।