প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪০৯তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর ও সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এত কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকারের উদাহরণ পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোন নেতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন,শোষণ, বঞ্চনা, উৎপীড়ন, পরাধীনতা ও বিদেশীদের শাসন থেকে বাঙালির মুক্তির জন্য বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অকুণ্ঠ, নির্লোভ থেকে বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগের মহিমা দেখিয়েছেন বাঙালি জাতির আর কেউ তা দেখাতে পারেন নাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, দেশের রাজনীতিবিদরা জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকায় বিদেশে চিকিৎসা করছেন। তাদের এই চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ফলে জনগণের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এটা কস্মিনকালেও সম্ভব হতো না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এইজন্য প্রয়োজন দৃঢ় দেশপ্রেম।
প্রশান্ত কুমার বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের অবদান ছিল বীরোচিত। মাত্র ২২ বছর বয়সে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ও তখনকার ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শেখ কামাল শুধু একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তরুণ রাজনীতিবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন অপাদমস্তক ক্রীড়াপ্রেমী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং সর্বোপরি একজন মানবিক মানুষ।
আমাতুন নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু নীতি নৈতিকতার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন। জনতার প্রতি তাঁর মায়া ও মমত্ববোধ ছিল প্রবল।
ফারহানা আকতার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯৭১-১৯৭৫) সাড়ে তিনবছরের শাসনামলের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন ৷
মোশফিক কাজল বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোবলে বলিয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ডা. এবিএম মাহাবুবুল হক, লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি।