প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪০৬তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক ।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল,
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান,কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর,সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ভাষা সংগ্রামী ছিলেন। ভাষা সংগ্রামীদের প্রতিও তাঁর বিশেষ শ্রদ্ধাবোধ ছিল।
তিনি জাতির পিতাকে উদ্ধৃত করে বলেন যে, ‘আমাদের ভাষা আন্দোলন এটা শুধুমাত্র যে ভাষার জন্যই তা নয়; এখানে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ আন্দোলন ছিল।’ এই ধারাবাহিকতায় কিন্তু জাতির পিতা একটা জাতিকে ধীরে ধীরে আন্দোলনের পথ বেয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত ভাষা সংগ্রামী ডা.আহমদ রফিক বলেন,শুধু সংগ্রামী রূপ ধারণ করেই আবির্ভূত হয় না দেশপ্রেম। সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার সাধনা করা। তিনি আরো বলেন,দেশকে ভালোবাসুন, মানুষকে ভালোবাসুন। তাহলেই ভালোবাসার পূর্ণতা অনুভব করা যাবে।মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যত বাড়বে, ততই সৌহার্দ্য বিরাজ করবে। হানাহানি কমে যাবে। বক্তব্য শেষে ডা. রফিক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করার জন্য জানিপপ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,দেশের সদাপ্রহরী হচ্ছে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদদের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হল দেশপ্রেম। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন দলের অনেক রাজনীতিবিদ মহত্তর, বৃহত্তর কল্যাণবোধ থেকে ভ্রষ্ট।
জনাব দুলাল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ভাষা সংগ্রামী ডা. আহমদ রফিককে ৯৪তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আমাতুন নূর , বঙ্গবন্ধুর ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখে তার নারী উদ্যোক্তা হয়ে উঠার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সবগুলো ভাষণের প্রচার ও প্রসারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফারহানা আকতার,”নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-“শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার ১৭তম পর্ব উপস্থাপন করেন।
এ পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী তুলে ধরেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, সহকারি অধ্যাপক রমিজ আহমেদ সুলতান,সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা. বায়েজিদা ফারজানা, রাজশাহী থেকে ডা. এবিএম মাহাবুবুল হক।