বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা: ড.কলিমউল্লাহ 

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: বুধবার, সন্ধ্যায় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪০১তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. জেবউননেসা ও রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, বগুড়া থেকে সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, নীলফামারীর জল ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবির্ভাব বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা।রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি রূপকথার নায়কের মতোই উজ্জ্বল। পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইতালিতে ম্যাটসিনি ও গ্যারিবল্ডি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটন ও ভারতের মহাত্মা গান্ধী তেমনিভাবে স্বীকৃত ও সমাদৃত; বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তেমনই একজন মহানায়ক। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করে দেশের জনগণকে স্থিতিশীলতা এনে দেওয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী একজন মুক্তিসংগ্রামী এবং মহান রাজনীতিবিদ।

আব্দুস সাত্তার দুলাল

আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে তাঁর ছিল সীমাহীন ত্যাগ। তাঁর এই নিঃস্বার্থ ত্যাগের মহিমা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। মূল্যবোধ ও নীতি নৈতিকতা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়।

অধ্যাপক ড. জেবউননেসা বলেন, দুর্নীতি সব সরকারের আমলে ছিল। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মহিমা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে সমাজ থেকে অনিয়ম দুর্নীতি এমনিতেই কমে যাবে।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে গণ্য করতেন।

প্রশান্ত কুমার সরকার

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের একাংশে ”শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ”বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজিবিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর হতে পারে না’ ।

 

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যা আগামী নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে।

হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রজন্মের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জানিপপ।

মোশফিক কাজল, রাজনীতিতে বিশুদ্ধাচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিরোধীতার খাতিরে শুধু বিরোধিতা নয় বরং গঠনমূলক সমালোচনা করে সরকারকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে রাজনীতিবিদদেরকে।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, সিরাজগঞ্জ থেকে মিস হ্যাপি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Share: