প্রেসওয়াচ রিপোর্ট: রবিবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেনইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র বোর্ড মেম্বার অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মারুফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. জেবউনেসা,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মাজহারুল আনোয়ার, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,কুষ্টিয়া থেকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির,নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক গবেষক ফাতেমা -তুজ জোহরা,পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন। কোনভাবেই তিনি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতেন না।
আব্দুস সাত্তার দুলাল, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অনুসরণ করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বর্তমান রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। রাজনীতিবিদরা যদি অন্তঃকরণে বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ না করেন তাহলে কোনভাবেই সাধারণ মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে কাঙ্খিত মাত্রায় সেবা পাবেনা বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাকির হোসেন মারুফ, তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হলেও নেপথ্য কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা না গেলে সরকার এবং দেশে ঘাপটি মেরে থাকা গিরগিটিদের মুখোশ উন্মোচন করা যাবে না।
অধ্যাপক জেবউননেসা বলেন, বর্তমান সরকার অবিস্মরণীয় এবং মৌলিক উন্নয়নযজ্ঞ সম্পাদন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্বাচনী ইশতেহারের সিংহভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,
বাংলাদেশের চা -শিল্পের নেপথ্যে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি আরো বলেন, শতপ্রতিকূলতা ডিঙিয়ে বঙ্গবন্ধু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ধনী-গরীবের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
আর্জিনা খানম, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
গবেষক মাজহারুল আনোয়ার বলেন, জাতির পিতা হত্যাকারী কারা এটা আজ স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
গবেষক ফারহানা আকতার, ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তৃতার দশম পর্ব উপস্থাপন করেন। এ পর্বে তিনি বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের সঙ্গে বর্তমান শাসনামলের একটি তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি বর্তমান সরকারের শাসনামলের কিছু অসংগতি তুলে ধরেন এবং অসংগতিগুলো দূর করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, বৈশ্বিক দুরবস্থার শিকার দরিদ্র কৃষকদের পাশে সরকারকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন। সংস্কৃতি ও শিক্ষার উন্নয়নে তিনি শিল্পী সমাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ফাতিমা তুজ জোহরা, সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।
খাদেমুল ইসলাম, সমাজের অসংগতি দূরীকরণে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার ।