বঙ্গবন্ধু সতীর্থদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন : ড.কলিমউল্লাহ 

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:শনিবার সন্ধ্যায়  পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৮৯তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মারুফ এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র বোর্ড মেম্বার অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল, রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও কুষ্টিয়া থেকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন

এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিওসভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সতীর্থদের বিপদে কখনো ভুলতেন না। সতীর্থদের রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। শতবাঁধা অতিক্রম করে সতীর্থদের পাশে দাঁড়াতেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসম্ভব রকমের ত্যাগী এবং নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি আরো বলেন, হিংসা, লোভ , পরশ্রীকাতরতা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

 

জাকির হোসেন মারুফ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন মারুফ বলেন,বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকতেই সৌদি আরব, সুদান, ওমান ও চীন ছাড়া বিশ্বের সব রাষ্ট্রই বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।নতুন একটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য এর চেয়ে আর কি হতে পারে! এই সাফল্যের পেছনে ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বনেতাদের ছিল গভীর শ্রদ্ধা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন ছিলেন ক্ষনজন্মা পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বাংলাদেশের সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি।

স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িক ব্যবস্থা হিসাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাকশাল গঠনের আগে পাঁচ শতাংশ দুর্নীতিবাজ,লুটেরা ৯৫ শতাংশ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতো। কোনভাবেই এই লুটেরাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। বাকশাল কায়েম করা গেলে ৯৫% মানুষ নিয়ন্ত্রণ করবে নিজেদের ভাগ্য।

আর্জিনা খানম বলেন,বঙ্গবন্ধুর কখনো মৃত্যু হয় না, তিনি বেঁচে থাকবেন জন্ম-জন্মান্তরে।

গবেষক ফারহানা আকতার, ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তৃতার নবম পর্ব উপস্থাপন করেন। এ পর্বে তিনি বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক এবং বঙ্গবন্ধুর শৈশবের ইতিহাস তুলে ধরেন।

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে ফাতেমা -তুজ জোহরা,পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার এবং জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি।

Share: