নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শিক পথে বঙ্গবন্ধু অবিচল ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:শুক্রবার, সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৭৪তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে নেপাল থেকে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.জেবউননেসা।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা-তুজ- জোহরা, যশোর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূর এ আলম জাহিদ ও লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ফেলো ডক্টর তানভীর ফিত্তীন আবির।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শিক পথে অবিচল ছিলেন। তিনি আরো বলেন,
বঙ্গবন্ধুর মতো সবাইকে নৈতিকতা, পরার্থপরতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। এর বেশীরভাগই তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে।কিন্তু যে ব্যক্তিক নীতি,নৈতিকতা ও আদর্শবােধ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছিলাে সেগুলাে প্রায়শঃ অনুচ্চারিত থাকে। বাঙ্গালী জনগােষ্ঠীর ব্যক্তি পর্যায় তাে বটেই, রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এই নীতি নৈতিকতাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ একটি বহুল প্রচলিত শব্দ- যা মুলতঃ ব্যবহৃত হয় ক্ষমতা চর্চার বাহুল্য হিসাবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের অসামান্য জীবন থেকে তাঁর আদর্শ, নীতি নৈতিকতার চয়ন জরুরী আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতিগােষ্ঠী হিসাবে নিজেদের গড়ে তােলার জন্য রাজনীতি বহির্ভুত একজন ব্যক্তি মানুষের জন্যও এই নীতিবােধের চর্চা জরুরী।
অধ্যাপক ড. জেবউননেসা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আজ বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের এমন কোন অধ্যায় নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ নেই। সকল মৌলিক উন্নয়নের সূচনা তিনি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু পর্যটন বিকাশ এবং জলোচ্ছ্বাস থেকে কক্সবাজার উপকূলকে রক্ষার নিমিত্তে ঝাউবন সৃজন করেছিলেন। তিনি বৃক্ষপ্রেমিক ছিলেন,তেমনি পশু-পাখি প্রেমিকও ছিলেন।

ড. তানভীর ফিত্তীন আবির ,বঙ্গবন্ধু চর্চার সান্ধ্যকালীন আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য জানিপপ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বঙ্গবন্ধু আদর্শের ফেরিওয়ালা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন নতুন প্রজন্মের সামনে।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার ও পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী।

Share: