বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসাকে বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করার সুযোগ নেই : ড.কলিমউল্লাহ   

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার, সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৭০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জেবউননেসা, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার ।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা ও দিনাজপুর থেকে বীরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুরশিদ অর্ণব

এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসাকে বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করার সুযোগ নেই। তাঁরা ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে পরিবর্তন। যে উন্নয়ন শতভাগ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় না, শতভাগ মানুষের কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পরিবর্তন করে না সেটা কোন উন্নয়ন নয়।

 

অধ্যাপক ড. জেবউননেসা বলেন,বঙ্গমাতা দেশের জন্য কতটা অন্তঃপ্রাণ ছিলেন, তাঁর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। তিনি একজন রাজনীতি সচেতন নারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বেগম মুজিবের কাছে পরামর্শ নিতেন এবং নেতৃবৃন্দকে তিনি বুদ্ধি পরামর্শ প্রদান করতেন । বঙ্গমাতা অনেক সময় নেতাদের ডাকতেন দলের সমস্যা শোনার জন্য এবং দলের সংকটকালে অর্থ সাহায্য প্রদান করতেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফায় ৭ জুনের হরতাল সফলভাবে পালন করার জন্য কাজ করেন।

গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নের আলোর দিশার।

 

গবেষক মাজহারুল আনোয়ার বঙ্গমাতার জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গমাতার আদর্শ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বঙ্গমাতার জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে কবি কাজী নজরুল ইসলাম’র একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, সিটিজেন বাংলা ডট কম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার , সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ইএ রুমা ও যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ।

Share: