ডেঙ্গুতে বয়স্কদের পাশাপাশি সমানতালে আক্রান্ত শিশুরাও

জান্নাতুলঃ বয়স্কদের পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিশু ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ডেঙ্গু কর্নারের ১২টি বেডই পরিপূর্ণ রোগীতে। হাসপাতালটিতে বছরের প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গু নিয়ে ২১ শিশু চিকিৎসা নিলেও চলতি মাসেই ভর্তি হয় অর্ধশতাধিক।

বর্তমান সময়ে শিশুর জ্বর হলে অবহেলার সুযোগ নেই জানিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষার। পাশাপাশি শিশুর দেহে ডেঙ্গুর বিপদচিহ্ন দেখা গেলে কালবিলম্ব না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে সরেজমিনে দেখা যায়, দিনমজুর রতন মিয়া তার সাত বছর বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। গত সাতদিন আগে তার জ্বর শুরু হয়। পরে পরীক্ষায় ধরা পড়ে সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়াও এক বছর আট মাস বয়সী জুনায়েদ হাসপাতালে ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়ছে পাঁচদিন ধরে। প্রথম দিকে শারীরিক পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গেলেও দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে অবস্থার।

শিশু হাসপাতালে বছরের প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গু নিয়ে ২১ শিশু চিকিৎসা নিলেও চলতি মাসেই ভর্তি হয় অর্ধশতাধিক। এরই মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে হাসপাতালটির ডেঙ্গু ইউনিটের ১২টি সিটই। বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে সেবা নিচ্ছে ২০ শিশু।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক রিজওয়ান আহসান বিপুল বলেন, প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪টি শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এটা আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে যেতে পারে।

বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই হাসপাতালে আসতে দেরি হচ্ছে জানিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুর জ্বর নিয়ে কোনো অবহেলার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগে থেকে যদি বাচ্চার বাবা-মা কিছু উপসর্গ দেখেন; যেমন- প্রচণ্ড জ্বর, বমি, পেটে ব্যথাসহ নানান উপসর্গ। তখন থেকে বাবা-মাকে বাড়তি সতর্ক হতে হবে এবং শিশুদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরেই দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ১০।

Share: