ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

ফিলিপাইনের ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। বুধবার (২৭ জুলাই) দেশটির লুজন দ্বীপে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।

ইউএসজিএসের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে রাজধানী ম্যানিলাসহ অনেক এলাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আবরা প্রদেশের ডোলোরেস শহরের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি, গুরুতর আহত বা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে ভবনটি আংশিক ধসে পড়ার পর আবরা প্রদেশের একটি হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আবরা প্রদেশের লাগানগিলাং শহরের মেয়র রোভলিন ভিলামোর বলেন, ‘আমরা এখনো আফটারশক অনুভব করছি। আমরা বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ। কারণ বিপদের সময় এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।’

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় ইলোকোস সুর প্রদেশের কংগ্রেসম্যান এরিক সিংসন ডিজেডএমএম রেডিও স্টেশনকে বলেন, ভূমিকম্পটি তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। এটি ৩০ সেকেন্ড বা তার বেশি স্থায়ী হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, আমার বাড়িটি হয়তো ভেঙে পড়বে। এখন আমরা মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। এখনো আফটারশক হচ্ছে, তাই আমরা আমাদের বাড়ির বাইরে আছি।

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি রাজধানী ম্যানিলায়ও তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর শহরের মেট্রোরেল ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে।

ফিলিপাইনে প্রায়ই নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ারে’ রয়েছে, যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।

Share: