ভারতের ইমিগ্রেশন নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই

পদ্মা সেতু চালুর পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যেমন বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে তেমনি ভারত থেকেও বাংলাদেশে আসার প্রবণতাও বেড়েছে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ তৈরিতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা শুরু থেকে আলোচিত। তবে ভারতের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। যদিও বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন আন্দালিব ইলিয়াস।

২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন হয়। এর পরপরই বাড়তে থাকে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। আগে যেখানে গড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যটক পেট্রোপোল সীমান্ত পাড়ি দিতেন, সেখানে এখন গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার মানুষ ভারতে ঢুকছে।

শুধু বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যাই বাড়েনি। ভারতীয়দেরও বাংলাদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গত তিন মাসে প্রায় ৩৬ হাজার ভারতীয় কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন থেকে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে গেছেন, এছাড়াও ত্রিপুরা, আসাম, দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাস ও উপ-দূতাবাসেও বাংলাদেশের ভিসা চাহিদা বেড়েছে।

দুই দেশের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও বাধ সেধেছে ভারতীয় সীমান্তের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা। বাংলাদেশিদের অভিযোগ, মাত্র ৬ মিনিটে পদ্মা পর হয়ে আসলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশনের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, কিছু সমস্যা রয়েছে এগুলোর অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।

ভারতের বাংলাদেশ মৈত্রি সংঘের সভাপতি শিশির কুমার বাজোরিয়া বলেন, একটা ইমিগ্রেশন আরেকটা কাস্টমস, এগুলোর গতি বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ উঠে আসে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যারা যাবে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে যারা আসবে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা যাবে, আগরতলা, মেঘালয় আসাম থেকে যারা যাবে তারা সবাই এর সুফল পাবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ নিয়েও আলেচনা হয়।সুত্র- সময়
Share: