অনেকেই ঈদের মুখরোচক খাবার হজম করতে বেছে নেন বাজারে পাওয়া নানা ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়কে। যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। খাবার হজম করতে প্রাধান্য দিতে পারেন টক দইকে।
আরও পড়ুন: কখন কোরবানির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন
টক দই ত্বকের সুরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য। এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি ৬, এবং ভিটামিন বি ১২এর দরকারী সব পুষ্টিগুণ। তাই ডাক্তার বা পুষ্টিবিদরা সব সময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী, এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, রোগকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই টক দই।
স্বাস্থ্য সচেতনরা পছন্দ করলেও অনেকেই এই খাবারটি খেতে চান না এর টক স্বাদের কারণে। তাই তাদের জন্য বলছি, টক দই আপনি সহজেই খেতে পারেন যদি এটি দিয়ে বোরহানি তৈরি করে নেন। কারণ বোরহানি যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যকরও। কোরবানির এই ঈদের নানান পদের খাবারগুলোকে দ্রুত হজম করতে ১ গ্লাস বোরহানি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
বাড়িতে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে অতি সহজেই আপনি এটি তৈরি করে নিতে পারেন। যদিও এটি ভারী খাবারের পর খাওয়ার রেওয়াজ আছে তবে আপনি চাইলে সকাল,দুপুর কিংবা রাতের খাবারে একে অনায়াসেই ঠাঁই দিতে পারেন। কেননা গরমের এই সময়টাতে শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও এর কোনো জুরি নেই।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: টক দই ১/২ কেজি, পুদিনা পাতা পেস্ট ২ চা চামচ,কাঁচা মরিচ পেস্ট ১/২ চা চামচ, ধনে পাতা ১ চা চামচ, চিনি ২ চা চামচ, পানি ১ কাপ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, রাধুনি বোরহানি মশলা ৩ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
আরও পড়ুন: গরুর কড়াই গোশত
যেভাবে তৈরি করবেন: এই বোরহানি তৈরি করার জন্য অর্ধেক টক দই রাখুন ডিপ ফ্রিজে আর বাকিটা রাখুন নরমাল ফ্রিজে। এবার একটি জগে সমস্ত উপকরণ দিয়ে অপেক্ষা করুণ বরফের টকদই গলে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর বড় একটি চামচের সাহায্যে ভালো করে নাড়তে থাকুন। দইয়ে সব উপকরণ ভালো করে মিশে গেলে খাওয়ার জন্য ডাইনিং এ তা পরিবেশন করুন।