ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে পশু কোরবানি

সব বিভেদ ভুলে, এক কাতারে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায় করলেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। ঈদের নামাজের পরপরই ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আল্লাহর জন্য পশু কোরবানি করা হয়। এবার উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কোরবানির জন্য নির্ধারিত ছিল ৯টি স্থান। তবে বেশিরভাগ মানুষই কোরবানি করেন রাস্তার পাশে।

রাজধানীতে বেশিরভাগ স্থানে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। নামাজের পরপরই শুরু হয়ে যায় কোরবানির আয়োজন। উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে ৯টি কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম মিরপুর কাঁঠালবাগান।


এখানে সকাল ৮ টার মধ্যেই অন্তত ৩০টি গরু কোরবানি হয়। কিন্তু এই নির্ধারিত স্থানে জায়গা স্বল্পতার কারণে একই এলাকার বহু মানুষ কোরবানি দেন মূল সড়কেই। আগামিতে নির্ধারিত স্থান আরও বাড়ানো উচিত বলে মত দিয়েছেন নগরবাসী।

এদিকে, ঈদের দিন বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্ভোগ ছাড়াই কোরবানি দিতে পেরে খুশি নগরবাসী।


বেলা একটার দিকে কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলো পরিদর্শনে মিরপুরে আসেন উত্তর সিটির করপোরেশনের মেয়র। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দেয়ার এই উদ্যোগ আগামিতে আরও বাড়ানো হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনারা আমাদের সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি, খুব শিগগিরই সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’


ঈদের দিন রাজধানী ঢাকায় এবার দুই সিটিতে ১২ লাখ পশু কোরবানি হয়।
Share: