মধ্য আমেরিকায় সেনা মোতায়েনের সুযোগ পেল রাশিয়া

মধ্য আমেরিকার বৃহত্তম দেশ নিকারাগুয়ায় সেনা মোতায়েনের অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়া। নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা তার দেশে রুশ সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন। এর আওতায় দেশটিতে রাশিয়া সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করতে পারবে। খবর এপি ও আল জাজিরার।

দুই দেশের দাবি, প্রশিক্ষণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা, মানবিক সহায়তা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় উদ্ধার, অনুসন্ধান মিশন পরিচালনার জন্য রুশ সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে একটি ডিক্রি জারি করে প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা সরকারি সেনা মোতায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাশিয়ার পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

নিকারাগুয়ার সরকার জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি ছোট কন্টিনজেন্টকে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই পদক্ষেপকে ‘রুটিন ওয়ার্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার মাঝামাঝি নিকারাগুয়ার উত্তরে হন্ডুরাস ও দক্ষিণে কোস্টারিকা রয়েছে। এটির পূর্ব উপকূলে রয়েছে ক্যারিবিয়ান সাগর ও পশ্চিম প্রান্ত প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ। নিকারাগুয়ায় একাধিক দ্বীপ রয়েছে।

১৯৭৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে নিকারাগুয়ার সাবেক স্বৈরশাসক অ্যানাস্তাসিও সমোজাকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন ওর্তেগা। ক্ষমতায় বসার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ওর্তেগার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

ওর্তেগা ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নিকারাগুয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে তিনি ২০০৭ সালে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং এখনও তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিকারাগুয়ায় একসময় স্প্যানিশ উপনিবেশ ছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে দেশটি দখল করে স্পেনীয়রা। ১৮২১ সালে স্পেন থেকে তারা স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বৈরশাসন, আর্থিক সংকটে জর্জরিত। এসব কারণে ১৯৬০ সালে বড় ধরনের বিপ্লব হয় দেশটিতে। এরও এক দশক পর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

Share: