শাফিউল বাশারঃ
দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশায় ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ। উত্তাল রয়েছে সাগর। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অন্ধ্র উপকূল এবং এর কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘অশনি’ উত্তর দিক থেকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এতে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩২০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর অথবা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্দ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। দমকা বাতাস আর থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পায়রাসহ বন্দরসমূহকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে জেলেদের।
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটেও বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। আতঙ্কে উপকূলের বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নেওয়া মানুষের নির্ঘুম রাত কেটেছে। গত দুইদিন ধরেই উপকূল জুড়ে বৃষ্টি ও বাতাস গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নদীতে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।