ap

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে এমন বর্ণিল আয়োজন করায় বেশ খুশি নির্মাণ শ্রমিকরা। এদিকে দৃষ্টিনন্দন এ বৃহৎ প্রকল্পের কাজটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে চলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার মনকসাইর এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। প্রায় সাড়ে ১২ একর জায়গার ওপর একসঙ্গে নির্মাণ করা হচ্ছে চারশত ঘর। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে ঘরগুলো উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

এ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। এজন্যে অনেক নির্মাণ শ্রমিক নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন। এরইমধ্যে ঈদের ছুটিতে উত্তরবঙ্গ সহ দূরদূরান্তে বাড়ি গেলে প্রকল্পের নির্মাণ কাজে অনেকটা পিছিয়ে পড়বে। এমন আশঙ্কায় অনেক নির্মাণ শ্রমিক স্বেচ্ছায় বাড়িতে যায়নি। শ্রমিকদের এমন ইতিবাচক মনোভাব জানার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এক বেলা ভালো খাবার খাওয়ানোর জন্যে ইচ্ছে পোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী ঈদের দিন বিনোদন, সংগীত সহ বর্ণাঢ্য আয়োজন করায় খুশি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ শ্রমিকরা। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক নির্মাণ শ্রমিক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: ঈদের-দিন-সারা-দেশে-৮৩২-মিলিমিটার-বৃষ্টিপাত

নির্মাণ শ্রমিক নীলফামারী এলাকার মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আমরা বাড়িতে যাইনি। পরিবারকে ছেড়ে এখানে ঈদ করছি। মনটা খারাপ ছিল। প্রধানমন্ত্রী এমন আয়োজন করবেন সেটা কখনো ভাবতে পারিনি। বর্ণাঢ্য আয়োজন করার কারণে ক্ষণিকের জন্যে হলেও পরিবার ভুলে সকলের সঙ্গে ঈদ আনন্দে শামিল হয়েছিলাম। এমন সুন্দর আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আবেগাপ্লুত শ্রমিক পারভেজ বলেন, ‘এখানে ঈদের দিন যে পরিমাণ খেয়েছি, বাড়িতে গেলে হয়তো এই খাবার চোখে দেখতাম না। সুন্দর আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় দেশের প্রধান আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের সঙ্গে তিন শতাধিক শ্রমিক জড়িত। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি উত্তরবঙ্গের নীলফামারী ও জামালপুরে। এর মধ্যে দুই শতাধিক নির্মাণ শ্রমিক এবার ঈদে স্বেচ্ছায় ছুটিতে বাড়িতে যায়নি। তারা কর্মস্থলে অবস্থান করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের কর্মস্থলের প্রতি এমন ইতিবাচক মনোভাব জানার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ভালো কিছু খাওয়ানোর জন্য ইচ্ছে পোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী আজ ঈদের দিনে সংগীত, বিনোদনসহ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। খাবারের তালিকা ছিল পোলাও, কাবাব, মাছ ভাজি, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালাসহ প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী শ্রমিকদের পছন্দের খারার সেমাইয়ের সঙ্গে মুড়ি ছিল।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমরা চাইব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে এসে দেশের এই বৃহৎ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।