বঙ্গবন্ধু কখনো পরাভব মানতেন না : ড.কলিমউল্লাহ 

প্রেসওয়াচ রিপোর্টঃ শুক্রবার,১৮ই মার্চ, মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২২৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবি ড.শামস এ খান (অব.) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ-জোহরা লিমা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিজা জেরিন তাসনীম।

সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো পরাভব মানতেন না।তিনি আরো বলেন, সকল বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবি ড.শামছ এ খান(অব.)বলেন,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের সকলকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।-প্রেসওয়াচ ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবি ড.শামস এ খান(অব.)বলেন,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের সকলকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।

বঙ্গবন্ধু কখনো পরাভব মানতেন না : ড.কলিমউল্লাহ

গবেষক আবু সালেক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির আপনজন,আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করি,তাঁর প্রতি ভালবাসা নিবেদন করি।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন,বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু আছে তাঁর অনির্বাণ আদর্শ।

দিপু সিদ্দিকী বলেন,ইতিহাস তার আপন তাগিদেই ‘মহানায়কের’ উদ্ভব ঘটায়, আর সেই ‘মহানায়ক’ই হয়ে ওঠেন ইতিহাস রচনার প্রধান কারিগর ও স্থপতি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেমনই একজন কালজয়ী মহাপুরুষ।

 

প্রকৌশলী শাফিউল বাশার বলেন,বাঙালি জাতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  এক ও অবিভাজ্য সত্তার নাম।

ফাতেমা তুজ-জোহরা লিমা বলেন,বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবীর ইতিহাস যত দিন থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একইভাবে প্রজ্জ্বলিত হবেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে, প্রতিটি মুক্তিকামী, শান্তিকামী, মানবতাবাদীর হৃদয়ে।

 

সভায় বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন দেশের প্রথম রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে তিনি ইতিহাসে মহানায়কের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ভাষণের অন্য নাম ‘বজ্রকণ্ঠ’। সার্বিকভাবে বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম, যে আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বিশ্বের বুকে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

তার ত্যাগ ও সংগ্রাম আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হয়ে ধরা দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের সামনে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। তিনি কখনো ক্ষমতার পেছনে ছোটেননি। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইএন রুমা।

Share: