সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি

দিপু সিদ্দিকীঃ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।

এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ, রাজনৈতিক দল ও জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পর্যায়সহ সকল নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।

সাক্ষাৎকালে সিইসি ও অন্যান্য কমিশনাররা কমিশনের নির্বাচনী কার্যক্রমসহ তাদের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর বাংলা পাঠ রাষ্ট্রপতিকে হস্তান্তর করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্বলিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪  ফেব্রুয়ারি। অনুসন্ধান কমিটির মেয়াদ ১৫ কার্যদিবস।

Share: