শাফিউল বাশারঃ ড. কলিমউল্লাহ বলেছেন, বাকশাল গঠনের পর স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বৃহস্পতিবার, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে আলোচনা সভার ১৭২তম পর্বে সভাপতির বক্তব্যদান কালে ড. কলিমউল্লাহ একথা বলেন।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক মোঃ আবু সালেক খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম নীলা ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রলি।

সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল এবং মুখ্য আলোচক কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রভাষক কামাল উদ্দিন।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বাকশাল গঠনের পর স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায়গবেষক মোঃ আবু সালেক খান শিল্পকলাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন,বঙ্গবন্ধুর দেশে এ অবস্থা মেনে নেয়া যায়না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য বঙ্গবন্ধু সৈনিকদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ।

আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নাগরিক কেন্দ্রিক হতে হবে এবং সেবা-পরিসেবা প্রক্রিয়াগুলোও নাগরিকমুখি হতে হবে।

সভায় বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা জাতির জীবনে সব সময় আসে না। তিনি ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে ভয় পাননি। আজীবন অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন।

এছাড়াও বক্তারা জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও’র ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন।

সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এর সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

এছাড়াও সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইএন রুমা এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ।

Share: