প্রেসওয়াচ/চৌধুরী শাহ সুলতান নবীনঃ ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ভয়াবহ দিন। ১৯৭৫ সালের আগস্টের এই দিনে ঘটেছিল ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ওই কালরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনাকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল পরিবেশন করেছে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটক। শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নাটকটির গবেষণা ও তথ্য সংকলক হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, সেদিন রাতে ধানমন্ডির ভবনে কী ঘটেছিল তার আদ্যোপান্ত দেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে। ঐতিহাসিক এমন একটি ঘটনাকে নাটকে তুলে আনা সহজ কাজ নয়। তবুও পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন এর অভিনেতা কলাকুশলীরা।
তিনি বলেন, এ নাটকে যারা অভিনয় করেছেন তারা কেউ প্রফেশনাল অভিনেতা নন। বাঙালি জাতিসত্তার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাঙালির জাতিসত্তার যে আবেগের সম্পর্ক রয়েছে, আত্মার সম্পর্ক রয়েছে, মর্মের সম্পর্ক রয়েছে সেখানে প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা আমাদেরকে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট করে রেখেছেন। আমি মনে করি, এটা দীর্ঘদিন মঞ্চায়িত হবে।
আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের বাঙালির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি সেই অভিশপ্ত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের যারা শাহাদাতবরণ করেছিলেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. জাহিদুর রহমানের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটিতে ৩২টি চরিত্র রয়েছে। এক ঘণ্টা ১০ মিনিট ব্যাপ্তির ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদলের কলাকুশলীরা অনবদ্য অভিনয় করছেন।