দিপু সিদ্দিকী ঃ সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জেও বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হলে পুলিশের জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। লকডাউনে যানসহ মানুষজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টিমও কাজ করছে। রয়েছে ‘ভ্রাম্যমাণ মোবাইল’ টিমও। এদিকে লকডাউনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াতে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকলেও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং অতি জরুরি ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত যানবাহন পারাপারে সীমিতভাবে ফেরি চলাচল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহনগুলোকে চলাচল এবং ফেরিতে পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লকডাউনে মানুষজনকে ঘরে রাখতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় কেউ বের হলে তিনি পুলিশের জেরার মুখে পড়ছেন। পুলিশ তাদের বাড়িতে অবস্থান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুধু ওষুধ ও ফলের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া জেলা শহরের প্রধান শহীদ রফিক সড়কেও বিভিন্ন শপিং মল, বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
পুলিশ সুপার রিফাত রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি এবং লকডাউন আওতার বাইরে রয়েছে এমন যানবাহন ছাড়া সকাল ৬টার পর থেকে অন্য যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না।’ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাম মিয়া জানান, শুধু জরুরি প্রয়োজনীয় ও লকডাউন আওতার বাইরে থাকা গাড়িগুলোকেই পারাপারের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মাত্র দুটি ফেরি জরুরি পারাপার করা হচ্ছে।