পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা

মাহবুব বাশারঃ দেশীয় পেঁয়াজের সরবাহ কম ও দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। পেঁয়াজ আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে আসন্ন রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

পেঁয়াজের সংকট ও মুল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। সম্প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় ভারত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর ২ জানুয়ারি থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমের কারণে পড়তা না থাকায় ২৭ জানুয়ারি থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বাড়ায় হওয়ায় ৪ মার্চ থেকে আমদানি শুরু হয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ৩৬দিন বন্ধের পর বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও শুরুর দিকে আমদানির পরিমাণ কম ছিল। বর্তমানে শবেবরাত ও রমজান উপলক্ষে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে, দুদিনের ব্যবধানে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ৩০/৩১ টাকা থেকে কমে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৬/৩৭ টাকা থেকে কমে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের নতুন জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা  বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি প্রদানের বিষয়টি শিথিল ও সহজ করা হলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়বে। এতে আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন  বলেন, গত বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ১৭৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শনিবার ২৫ ট্রাকে ৬৮৬টন এবং রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

Share: