ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন নির্মাণে রেকর্ড গড়া চুক্তি স্বাক্ষর

গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই পর্যন্ত দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু করতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পটির গুজরাট অংশের ৩২৫ কিলোমিটার নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাপানি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টার্বোকে (এল অ্যান্ড টি)। প্রকল্পটির এই অংশ নির্মাণে ব্যয় হবে ২৫ হাজার কোটি রুপি। যার পুরোটাই যোগান দেবে ভারত সরকার। এটাই দেশটির নিজস্ব অর্থায়নের সবচেয়ে বড় বেসামরিক চুক্তি। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।.

২০১৭ সালে বুলেট ট্রেন প্রকল্প শুরুর ঘোষণা দেয় ভারত

আহমেদাবাদ-মুম্বাই বুলেট ট্রেন নির্মাণকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প বলে আখ্যা দিয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রকল্পটির জমি বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। ফলে মহারাষ্ট্রের অংশটুকু বাদ রেখেই গুজরাট অংশের কাজ শুরুর নির্দেশ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

আর সে লক্ষ্যেই জাপানের প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারতের সরকারি কোম্পানি ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশনের (এনএইচএসআরসিএল)।  বৃহস্পতিবার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি বলেন, টোকিও যখন অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি আনার প্রয়োজন বোধ করছে তখনই এই বিশাল অবকাঠামো চুক্তিটি পাওয়া গেলো। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাপানের প্রযুক্তি শুধু ভারতে আসার সহায়ক হবে তাই নয় বরং এর আশপাশ জুড়ে গড়ে উঠবে নগরায়ন।

ভারতের রেলওয়ে বোর্ডের সিইও এবং চেয়ারম্যান ভি কে যাদব ওই অনুষ্ঠানে বলেন,প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এই ধরনের আরও সাতটি রুটে রুটে ট্রেন করিডর তৈরি করার চিন্তা রয়েছে সরকারের। তিনি বলেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান, ডিজাইনার ও আর্কিটেক্টদের মতো পেশাজীবীদেরই শুধু নয় বরং দক্ষ এবং আধা দক্ষ শ্রমশক্তির পাশাপাশি নির্মাণ শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থান হবে।

ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন নির্মাণের কাজ পাওয়া জাপানি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টার্বো জানিয়েছে, কাজ শুরু করতে ইতোমধ্যেই তারা মাঠ পর্যায়ে কর্মী মোতায়েন করে ফেলেছে।

Share: