বেরোবিতে অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে একচেটিয়া নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ!

ক্রাইম ওয়াচ রিপোর্ট ঃ  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়র সুনাম অক্ষুন্ন রাখার করার চেষ্টা করলেও সাবেক ভিসি জলিল মিয়ার পেতাত্নারা এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রতিষ্ঠার একযুগেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের, এখানকার অনেক শিক্ষার্থীরা নিজ যোগ্যতা বলে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়র সুনাম অক্ষুন্ন রাখার করার চেষ্টা করলেও সাবেক ভিসি জলিল মিয়ার অন্যতম সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে একচেটিয়া নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে!
উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা রক্ষা সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা আধুনিক  জ্ঞানচর্চা পঠন পাঠনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্য বেগম রোকেয়া  বিশ্ববিদ্যালয়ের সুচনা হলেও প্রফেসর ড.গাজী মাযহারুল আনোয়ারের মতো কিছু শিক্ষকের কারণে পিছেয়ে  যাচ্ছে উত্তরাঞ্চালের মানুষের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়টি। বেরোবির দ্বিতীয় উপাচার্য জলিল মিয়া কর্তৃক নিয়োগদানের পর তার সকল অন্যায় অপকর্মের দোসর ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। নিয়োগ বাণিজ্য ছিল তার একচেটিয়া আধিপত্য। তিনি তার বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শুধু পরিবারের লোকজনকেই চাকরি দেননি গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং তার সহযোগীরা। টাকার বিনিময়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগ্যতা না থাকার পরও তারা চাকরি বাগিয়ে নিয়েছে। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে আছেন ইতিহাস বিভাগের আরা তানজিয়া শালিকার মেয়ে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম ভগ্নীজামাই, মার্কেটিং বিভাগের শাহজালাল।
কর্মকর্তা হিসেবে গাজী মাজহারুল আনোয়ার তার ভাইরার মেয়ে  রুমানা ফেরদৌসি জলিল রিচার্স অফিসার হিসাবে, ভাইরা রেজাউল করিম শাহ্ সহকারী পরিচালক অর্থ ও হিসাব, সুভেনির সেকশন অফিসার হিসাবে ভাইরার ভাই মাহবুবুর রহমান, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন কম্পিউটার অপারেটর সীমা আক্তার, মনিরা খাতুন, তাহমিনা আফরোজ লিপিকে। এসব নিয়োগের সময় কোনো ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কাও করা হয়নি বলে অভিযোগ রযেছে।
এম এল এস হিসেবে আছে আব্দুল মান্নান মন্ডল ও তার স্ত্রী। অফিস সহকারী হিসেবে আছে  হুমায়ন কবীর , ওবায়দুর রহমান  তারা সবাই বিতর্কিত শিক্ষক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নিকটাত্মীয়।
এক্ষেত্রে একজন শিক্ষককের পরিবারের এতজন সদস্যদের নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার কারণে প্রশাসন থেকে শুরু করে কর্মচারীরা নিজেদের খুব শক্তিশালী ভাব দেখায়। এমনকি অনেক সিনিয়র অধ্যাপকের সাথেও খুব বাজে ব্যবহার করে তারা। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম খুটি হিসাবে কাজ করতেন সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়া। দুর্নীতির দায়ে জলিলের কারাগারে যাওয়ার পর অনেকটা চুপ থাকার পর আবারো শিক্ষক সমিতির সভাপতি হন তারই ভায়রা ভাই অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গোপনে জামায়াত বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এখন আত্নীয়দের সাথে নিয়ে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়টি সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এই অধ্যাপক।
Share: