একমাত্র যোগ্য নেতৃত্বই একটি বিভাগকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে

প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও স্যার একাধারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন পাশাপাশি তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের গুরুদায়িত্ব পালন করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে সমৃদ্ধশালী করেছেন। তিনি তাঁর উদ্ভাবনী ও গতিশীল কাজের মাধ্যমে বিভাগকে স্বনামধন্য বিভাগে পরিনত করে চলেছেন। তিনি বিভাগে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এবং ডিজিটাল বোর্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুমের ব্যাবস্থা করেছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে নতুনভাবে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে তাঁর নেতৃত্বেই। আধুনিক মানুসিকতার ফলাফল হিসেবেই সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষক নতুন কম্পিউটার সেট পেতে যাচ্ছে। বিভাগকে যুগোপযোগী করার জন্য তিনি স্ক্যান যন্ত্র, ফটোকপি যন্ত্র সহ সকল আধুনিক সুবিধাদি করোনা পূর্বের সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন।
সেশনজট ছিলো সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অভিযোগের একটি অন্যতম নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়।
প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও স্যার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দায়িত্ব হাতে নেয়ার সাথে সাথেই বিভাগের সকল শিক্ষকগণদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে বিভাগকে প্রায় সেশনজটমুক্ত করেছেন। কিন্তু বৈশ্বিক করোনা সেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁরিয়েছে। বিভাগের সকল পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ নিয়মিত হয়েছে আমাদের বিভাগীয় প্রধান মাননীয় উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বেই।

প্রাণহীন সমাজবিজ্ঞান বিভাগ স্যারের দক্ষ নেতৃত্বে প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই বিভাগ শিক্ষাসফর, ক্রীড়াসপ্তাহ অনুষ্ঠান পালন করার মাধ্যমে। বিভাগীয় প্রধান মাননীয় উপাচার্য স্যারের হাত ধরে প্রতি বছর বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সেন্ট মার্টিন, সাজেক ভ্যালি, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট সহ দেশের নানা জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য শিক্ষাসফর এর ব্যাবস্থা করা হয়। শুধু তাই নয় মাননীয় উপাচার্য মহোদয় নিজে এই শিক্ষাসফর এ উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেন। এছাড়া এই বিভাগে নিয়মিত সপ্তাহব্যাপি পালন করা হচ্ছে “ক্রীড়াসপ্তাহ”।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকনিয়োগ নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষার্থীবান্ধব এই বিভাগীয় প্রধান শিক্ষার্থী, শিক্ষকগণ, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যৌক্তিক ও ন্যায্য চাওয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন যার ফলস্বরূপ আমরা দেখতে পাই শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের চাওয়াকে অনুমোদন দেয়া, দ্রুততার সাথে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেন তিনি। জ্ঞান প্রসারিত করণে তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি ও বাংলা জার্নাল প্রকাশিত করেছেন এবং তা অব্যাহত আছে যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণা করেন এবং সেটা জার্নালে প্রকাশ করার সুযোগ পান।
তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও স্যার সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার উদ্দেশ্যে পুরো বিভাগকে ওয়াইফাই এর আওতাভুক্ত করেছেন। এই বিভাগে একজনও অধ্যাপক নেই আর সেই যায়গা থেকে চিন্তা করে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আরও সমৃদ্ধশালী ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনার এর আয়োজন করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও স্যার এর যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, এগিয়ে যাচ্ছে বেরোবি এবং এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

শাম্মী ইসলাম
প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
সদস্য, নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: