আবরার হত্যা মামলা: আরেক ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামির জবানবন্দি গ্রহণকারী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বিচারক ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (১২ অক্টোবর) ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি সাক্ষ্য প্রদান করেন। গত ৬ অক্টোবর বাদী আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির ছয় জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

১৩ জানুয়ারি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে ৩ জন। গ্রেফতার ২২ জনের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলো–মেহেদী হাসান রাসেল, অনীক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম  নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।

এজাহারবহির্ভূত ৬ জন হলো– ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

পলাতক ৩ আসামি হলো–মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুই জন এজাহারভুক্ত আসামি।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলাটির সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। বর্তমানে এ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

Share: