বাসায় ফেরার পথে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে রিকশা থেকে নামিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আট আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। শনিবার (১০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খাইরুল আমিনের আদালত এই আদেশ দেন।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত জাহাঙ্গীর আলমকে পাঁচদিন এবং অপর সাতজনকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাতে ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওইদিন রাত দেড়টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর পাড় এলাকার জনৈক আনোয়ার সাহেবের চারতলা বাড়ির ডান পাশের গলিতে ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার ৮ জন হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), মো. ইউসুফ (৩২), মো. রিপন (২৭), মো. সুজন (২৪), দেবু বড়ুয়া প্রকাশ জোবায়ের (৩১), মো. শাহেদ (২৪), রিন্টু দত্ত প্রকাশ বিপ্লব (৩০) ও মনোয়ারা বেগম প্রকাশ লেবুর মা (৫৫)। গ্রেফতার ৮জনের মধ্যে জাহাঙ্গীর, ইউসুফ, বিপ্লব ও দেবু পেশায় সিএনজিচালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যরা এলাকায় ঘোরাফেরা করেন।
ঘটনার বর্ণনায় নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘ভিকটিম নারী বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানাধীন গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিকশা যোগে রওনা হন। রাত ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় সিএনজি থেকে নেমে বাসার উদ্দেশ্যে রিকশায় ওঠেন। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকেই আসামিরা ভিকটিমকে অনুসরণ করতে থাকে। পরে চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর এলাকায় আসলে আসামিরা ভিকটিমকে রিকশা থেকে নামিয়ে টেনে হেঁচড়ে আরকান সড়কের মৌলভী পুকুর পাড়ের জনৈক আনোয়ার সাহেবের চার তলা ভবনের ডান পাশের গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ডাস্টবিনের পাশে রাত দেড়টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ওসিসি তে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে চান্দগাঁও থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমি নিজে ওই ভিকটিমের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছি। ওই নারী আমাদের জানিয়েছেন ৮ থেকে ১০জন তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ কাজে বাধা দেওয়ায় তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।