মির্জা ফখরুলের বাসায় হামলার অভিযোগ

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে ফখরুলের উত্তরার বাসভবনে কিছু উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত ব্যক্তি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে দাবি করেছে দলটি।

শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসভবনে কিছু উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত ব্যক্তি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার ক্ষতিসাধন করে। সন্ধ্যায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এই ঘটনার পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি।’

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘বর্তমানে সারাদেশে গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতনের যে মহামারী চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতেই সরকারের এজেন্টরা এই হামলা চালিয়েছে।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক  বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে একটি টিম পাঠানো হয়। কিন্ত সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম কফিল উদ্দিনের সমর্থকরা মির্জা ফখরুলের বাসার সামনে জড়ো হয়। এসময় তারা এই আসনের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে মির্জা ফখরুলের বাসায় ডিম ও পাথর নিক্ষেপ করেন তারা।

এ ব্যাপারে কফিল উদ্দিন  বলেন, ‘কারা মহাসচিবের বাসায় হামলা করছে, কারা তার বাসায় ডিম এবং পাথর ছুড়ে মেরেছে আমি জানি না। বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরা মার খেয়েছে, তারা এর বিচার দিয়েছিল মহাসচিবের কাছে। নেতাকর্মীরা বিচার পায়নি। এখন কারা হামলা করছে আমি জানি না। এখন কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তো কিছু করার নাই। আমি কোনও অভিযোগকে কেয়ার করি না। ন্যায়-নীতির পক্ষে চলি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশান অফিসে এস এম জাহাঙ্গীর ও এম কফিল উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এস এম জাহাঙ্গীরকে দায়ী করে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাতজন লিখিতভাবে বিএনপির হাইকমান্ডে অভিযোগ দিয়েছিল।

Share: