বিশেষায়িত কোনও পরীক্ষাগার ছাড়াই মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তে সক্ষম একটি র্যাপিড টেস্ট কিট উদ্ভাবন করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ল্যাব-অন-এ-চিপ’ নামের এই কিট ব্যবহার করে পাওয়া ফলের সঙ্গে বর্তমানে প্রচলিত পরীক্ষার ফলাফলের মিল রয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেমের (এনএইচএস) আটটি হাসপাতাল ইতোমধ্যে এই কিটটি ব্যবহার করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে প্রচলিত পরীক্ষা এবং শনাক্ত কর্মসূচির কোনও সমাধান হয়ে উঠবে না নতুন এই কিট।.
৩৮৬ জনের নমুনা নিয়ে একইসঙ্গে ডিএনএনাজের যন্ত্র ও প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখেছেন লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকেরা। গবেষণাটি পরে ল্যানসেট মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক গ্রাহাম কুক বলেন, ‘নতুন কোনও প্রযুক্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে খুবিই স্বস্তিদায়ক ফলাফল পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ পরীক্ষা পদ্ধতিতেই হয় সময় বেশি লাগে, না হয় যতটা নির্ভুল ফল আশা করা হয়, ততটা পাওয়া যায় না। কিন্তু এই পরীক্ষা পদ্ধতি দুটো শর্তই পূরণ করেছে।’
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেসব ব্যক্তির নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নেই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেসব ব্যক্তির নমুনায় নতুন র্যাপিড টেস্টও একই ফলাফল মিলেছে আর যাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তাদের নমুনায় ল্যাবরেটরির পরীক্ষার ফল আর র্যাপিড টেস্টের ফলাফলে ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মিল পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার নাজবক্স মেশিন এবং ৫৮ লাখ ডিসপোজেবল কার্টিজ কেনার আদেশ দিয়েছে। তবে নতুন এ যন্ত্রটির সীমাবদ্ধতাও আছে। যন্ত্রটি একইসঙ্গে একটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে পারে না। ফলে এ ধরনের যন্ত্র দিয়ে দিনে ১৬টির বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে না।
অধ্যাপক গ্রাহাম কুক জানান, নতুন এই যন্ত্রটি কেবল ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই কার্যকর।