সময়ের অগ্রপথিক একজন অগ্রসরমান ব্যক্তিত্ব যিনি শুধু কাজকে সিঁড়ি হিসেবে বিনির্মাণ করে অগ্রসর হচ্ছেন, বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সম্মুখ পানে তিনি একজন অনন্যসাধারণ মানুষ আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। তাঁর স্বকীয় আর অগ্রবর্তী চিন্তাশক্তি দ্বারা সম্মুখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত আমাদের প্রিয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-কে। ১৪ জুন, ২০১৭ সালে দুর্দশাগ্রস্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অভিভাবক হিসেবে কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টির সামগ্রিক সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করে একটি মসৃণ পথ বিনির্মাণ করবার জন্য প্রচেষ্টা চলমান রেখেছেন। যে লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তাঁর এই পথচলা তা হলো, দেশের প্রান্তিক অবস্থানে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শুধুমাত্র দেশেই নয় বিশ্বব্যাপী একটি অনন্য উচ্চতায় আসীন করা।
ব্যতিক্রমী এই মানুষটি সময়ের বহমান স্রোতকে সবসময় কাজের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট। এমনকি এই করোনাকালীন মহামারীতে যখন সমগ্র বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে তখনও তিনি একের পর এক গতিশীল ও কর্মমুখর পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষকদের পদোন্নতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রেখে চলছেন। একইসাথে এই করোনাকালীন মহামারীতে তিনি অত্যন্ত মানবিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্যের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ‘বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল’ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলের সিট ভাড়া মওকুফ করা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বাড়ি ভাড়া, মেস ভাড়া মওকুফের জন্য আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক সকল কর্তৃপক্ষকে মওকুফ করার আবেদন জানিয়েছেন। যা শিক্ষার্থীদের কাছে অনন্য ও দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হিসেবে পরিগণিত হবে।
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রথম নবনিযুক্ত শিক্ষকদের জন্য প্রচলন করেন ৬ মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের জন্য ৪ মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ও কর্মচারীদের জন্য ২ মাসব্যাপী ইন্ডাকশন ট্রেইনিং কোর্স। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি কর্তৃক প্রশংসিত হয়। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা, ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ তৈরি, ল্যাব প্রতিষ্ঠা, ক্যাফেটোরিয়া চালু করা এবং সেশনজট নিরসনে তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তৎপর রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাকর্মে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট চালু করা এবং এর অধীনে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম পুনরায় চালু করা, বিশেষ করে গবেষণা ও জার্নাল প্রকাশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরকে শীর্ষস্থানে নিয়ে আসা (ইউজিসি কর্তৃক ঘোষিত) সহ অসংখ্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭৫ একরের সবুজ ক্যাম্পাসটিতে প্রাণের সঞ্চার করেছেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার।
আমাদের দেশের অন্যতম রাজনীতি ও নির্বাচন বিশ্লেষক হিসাবে সমাদৃত ও দক্ষ, প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী, অসম্ভব বিনীত এবং সময়ের চেয়ে অগ্রসরমান একজন ব্যক্তি ও উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। সকল প্রতিকূলতা, সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনাকে পেছনে ফেলে প্রতিনিয়ত সম্মুখে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রিয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-কে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
নাজমা আক্তার
প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সহকারী প্রভোস্ট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ও
সদস্য, নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।