সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আধুনিকায়ন ও বেরোবির ডিজিটালাইজেশনে উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ স্যারের অবদান”

বৃহত্তর রংপুর এর গণ মানুষের দাবীতে প্রতিষ্ঠিত রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রান্তিলগ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বহুগুণে গুণান্বিত একজন দেশপ্রেমিক ও পরিচিত মুখ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার ২০১৭ সালের ১৪ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উপাচার্য হিসেবে পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)-এর চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর, বিএনসিসি এর মেজর, দ্য ডেইলি এশিয়ান এইজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। আধুনিক চিন্তা-চেতনা ও ডিজিটাল মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪র্থ উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে নিরলসভাবে সার্বিক কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর মাননীয় উপাচার্য স্যার ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এর ব্যবস্থা করেছেন। বিভাগের শিক্ষক সংকট নিরসনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।আমিসহ বিভাগে নতুন ছয়জন শিক্ষক তিনি নিয়োগ দিয়েছেন এবং বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন।আমি নিজেও স্যারের সুবাদে গ্রাজুয়েট ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) ময়মনসিংহে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। তিনি বিভাগের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন যেমন পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রদান, ছাত্রছাত্রীরা যেন সেশনজট মুক্ত থাকে, শিক্ষা সফরে যাওয়া ও দেশের উন্নয়ন মূলক কাজে উৎসাহ প্রদান প্রভৃতি। তিনি শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মচারীর সংখ্যা ও বৃদ্ধি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও ছাত্রছাত্রীদের অধিকতর জ্ঞানগর্ভ করে তোলার জন্য আধুনিক কম্পিউটার ও ইন্টারনেট, ওয়াইফাই চালু করেছেন। অবাক করা বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রতি তিন মাস অন্তর বিভিন্ন শৃঙ্খলার একটি করে বাংলা ও ইংরেজি জার্নাল প্রকাশিত হয়। তিনি বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষণীয় সেমিনার ও সিম্পজিয়ামের আয়োজন করেছেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর উপাচার্য মহোদয়ের উদ্ভাবনী চেষ্টার বহিঃপ্রকাশ। প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার তার বলিষ্ঠ ও সুচারু নেতৃত্বে দিনরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক কর্মপন্থা নির্ধারণ, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনসহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম প্রধান কাজ, তাই উপাচার্য মহোদয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে প্রায় ৫৪ টি জার্নাল প্রকাশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি সহ কিভাবে কাজের গতি বাড়ানো যায় তার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। মহামারী করোনাকে উপেক্ষা করে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার সবসময় কাজের কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিকল্পনা ও ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে যার পদচারণা তিনি হলেন বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। শত ব্যস্ততার মাঝেও যিনি শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ করে প্রত্যক্ষভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। ফলশ্রুতিতে সমাজবিজ্ঞানসহ বেশিরভাগ বিভাগ আজ সেশনজট মুক্ত, অপরাজনীতি মুক্ত ও একে অপরের সঙ্গে মেলবন্ধনে আবদ্ধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য তথা অভিভাবক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানান প্রতিকূলতায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে অত্যন্ত সফলতার সাথে তিন বৎসর সমাপ্ত করেছেন। উপাচার্য মহোদয় সবসময়ই ছিলেন নির্ভীক ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার যার প্রমাণ বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ, ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই সংযোগ, নতুন বাস (ওয়াই- ফাই ও স্মার্ট টিভি যুক্ত) সংযোজন, সবার তথ্যের সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য অটোমেশন প্রক্রিয়া চালুকরণ, পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষক নিয়োগে মেধাকে প্রাধান্য দেয়া, উপাচার্য হয়ে ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুপ্রেরণা যোগানো, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং কোর্স ও কর্মচারীদের জন্য ইন্ডাকশন ট্রেইনিং কোর্স এর ব্যবস্থা যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই প্রথম। উদ্বোধনী সমাবর্তন, নারীদের আত্মরক্ষার্থে ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা, ফেন্সিং ক্লাব, বিএনসিসি এবং স্কাউট এর অফিস স্থাপন, ব্যাংকের নতুন শাখা স্থাপনের কার্যক্রম, ক্যাম্পাস রেডিও, ক্যাফেটেরিয়া, অবকাঠামোগত উন্নয়ন (শেখ হাসিনা হল ও ডক্টর ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট ভবন নির্মাণের কাজ চলমান), ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, যানবাহনের গ্যারেজ স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থল নির্মাণ প্রভৃতি অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ফাইল ট্রাকিং সিস্টেমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও কাজের গতি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের সাময়িক ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে ক্লাশ শুরুর কার্যক্রম চলছে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।। যখনই মাননীয় উপাচার্য স্যারের সাথে সরাসরি অথবা মোবাইলে যোগাযোগ করেছি সমস্যা সম্পর্কে বলেছি তিনি শুনেছেন এবং সমাধান দিয়েছেন। মোবাইল ফোন সবসময় রিসিভ না করলেও পরবর্তীতে স্যার ফোন দেন যা আমাকে মুগ্ধ করে এবং স্যারের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে শিখেছি কিভাবে দীর্ঘ সময় নিয়মানুবর্তিতার সাথে কাজ করতে হয়। কারণ স্যার খুবই পরিশ্রমী মানুষ, কখনো রাগ করেন না এবং কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরামর্শ দেন। আমি নিঃসন্দেহে বলবো বিশ্ববিদ্যালয় বান্ধব উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএসিসিও স্যার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আধুনিকায়ন করেছেন এবং বেরোবির ডিজিটালাইজেশনে অনবদ্য অবস্থান তৈরি করেছেন। পরিশেষে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

লেখকঃ রাম প্রসাদ বর্মন
প্রভাষক
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: