![](https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/08/16/4a587a801124bb3f0d1c04f9e144b8d9-5f3831203b7a4.jpg)
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বলেন, হত্যাকারীরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জেনারেল জিয়ার নেতৃত্বে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, গণতন্ত্রকে হত্যা এবং হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি অভিযোগ করেন, জেনারেল জিয়া সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত এবং কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করেন এবং খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে খুনিদের বিচার কাজ সম্পন্ন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় কার্যকর করেন।
‘এটা সবার কাছে পরিষ্কার যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনও মূল্যে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর।’
এদিকে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা কালোব্যাচ ধারণ করে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহীদ অন্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনিমিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে নিরবতা পালন করা হয়। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত।