ট্রেনে অন্যজনের টিকিটে ভ্রমণে তিন মাসের জেল/জরিমানা

কোনো ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণের নিজ টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদি টিকিট কারো কাছে হস্তান্তর বা বিক্রয় করলে তিনি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পাশাপশি এ ধরনের টিকিটের ক্রেতাকে একবার একক ভ্রমণের সমান অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য দণ্ডিত করা হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সম্মানিত রেলওয়ে যাত্রী সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ট্রেনে ভ্রমণের জন্য ক্রয়কৃত টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদি টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয়। এটি কেবলমাত্র যে ব্যক্তি বা যাত্রীর ভ্রমণের জন্য প্রদান করা হবে সেই ব্যক্তি এবং উহাতে সুনির্দিষ্টভাবে যে সকল স্থানে বা মধ্যে ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করা হবে সেই স্থানসমূহের মধ্যে প্রযোজ্য হবে।

আরও বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণের নিজ টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদি টিকিট কারও কাছে হস্তান্তর বা বিক্রয় করে তাহলে উক্তরূপ বিক্রেতা তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় প্রকারের দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

অনুরূপভাবে টিকিটের ক্রেতা অন্যের টিকিট ব্যবহার করলে অথবা ব্যবহার করার চেষ্টা করলে সে একবার একক ভ্রমণের সমান অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য দণ্ডিত হবে। অতএব অন-লাইন/মোবাইল অ্যাপ থেকে নিজে টিকেট কেটে রেলভ্রমণ করতে বলা যাচ্ছে এবং অন্যের নামে ক্রয়কৃত টিকিটে রেলভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি দূর করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একজন যদি তার আপন ভাইয়ের জন্যও টিকেট কাটে তাহলেও তার ভাইয়ের জতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করতে হবে। তার বয়স যদি ১৮ কম হয় তাহলে যে টিকেট কাটবে তার জতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করতে পারবে। তাবে যে ভ্রমণ করবে তার মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এছাড়া একজনের পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে সর্বোচ্চ ৪টা টিকিট ক্রয় করা যাবে বলেও জানান তিনি।

Share: