‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ গ্রাহকের ১৭ ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে

 সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ গ্রাহকের ১৭ ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এবং ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রকল্প দু’টি ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি সেবা পাওয়া যাবে। এসব সেবা পেতে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমেই মিলবে সেই। সেবাগুলো হচ্ছে- ই-মিউটেশন, রিভিউ ও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি সিস্টেম, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য ব্যবস্থাপনা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বালু মহাল ব্যবস্থাপনা, চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, ভিপি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।  ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সিস্টেম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একই কাঠামোয় নিয়ে এসে আন্তঃপরিচালনযোগ্য  ডাটাবেজ তৈরি করে সরকারের অন্যান্য সব সেবার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, এ প্রকল্পটি সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।

এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে স্যাটেলাইট ও ড্রোনের  মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করতে তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া সারাদেশের ৪৭০টি উপজেলার মৌজা পর্যায়ে জিওডেটিক সার্ভের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১০টি জিও-রেফারেন্সিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে ও ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৮টি মৌজা ম্যাপের ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হবে। এছাড়া, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় এসএ জরিপের পর আরএস জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত দু’টি জেলার ১৪টি উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত জিও-রেফারেন্স করা মৌজা ম্যাপ উপর্যুক্ত ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পে সরবরাহ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের এক শ্রেণির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, এটি এত সহজ কাজ নয়। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় জমি ব্যবস্থাপনায় অনেক সময় লেগেছে। সেখানে বাংলাদেশে ২/৪ বছরে এটি সম্ভব নয়।

অপরদিকে ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  ভূমি জরিপ কার্যক্রমটি সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন করতে সময় লেগেছে ২০-২৫ বছর। ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন এ সময়ে সম্পন্ন করা জটিল। কারণ ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার বিষয়টি একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে এ প্রকল্পটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। এ দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যাশিত সেবাগ্রহীতা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে মোবাইল বা ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে সেবা পাবেন। হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা প্রদানই প্রকল্প দু’টির মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি জানিয়েছেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করার বিষযটি বর্তমান সরকারের পুরনো অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। কাজটি যতই চ্যালেঞ্জিং হোক সরকার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবেই।’

এদিকে সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, দেশে ফৌজদারি মামলার ৮০ শতাংশেরও বেশি মামলার সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দায়ী। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে মারামারি হানাহানির পেছনেও অন্যতম কারণ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে জমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যার ক্রয় বা প্রণয়ন করা হবে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেশের ভূমি সংক্রান্ত ৫ হাজার ২৪৭টি অফিসের একসঙ্গে অনলাইন ও ইলকেট্রনিক ভূমি সেবা চালু করা সম্ভব হবে। উক্ত দফতর সমূহে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সরবরাহ করা হবে। ভূমি সংশ্লিষ্ট জনবলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানিয়েছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ১২.৩.৪(ক) নং অনুচ্ছেদ এ ভূমি সংক্রান্ত সকল প্রকার রেকর্ড প্রণয়ন ও হালনাগাদকরণের পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ভূমি ক্রয়-বিক্রয় ও রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনয়ন এবং ভূমির রেকর্ডপত্রে জনগণের সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করা হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গে ভূমির নামজারি, মালিকানা, রেকর্ড, খাজনা পরিশোধ, ভূমি জরিপ এর বিষয়সমূহ ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ব্যবসা সহজীকরণে সম্পত্তি নিবন্ধন সূচকের ইতিবাচক ও দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হবে।

সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ গ্রাহকের ১৭ ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এবং ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রকল্প দু’টি ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্প দুটির বাস্তবায়ন ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি সেবা পাওয়া যাবে। এসব সেবা পেতে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমেই মিলবে সেই। সেবাগুলো হচ্ছে- ই-মিউটেশন, রিভিউ ও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি সিস্টেম, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য ব্যবস্থাপনা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বালু মহাল ব্যবস্থাপনা, চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, ভিপি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।  ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সিস্টেম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একই কাঠামোয় নিয়ে এসে আন্তঃপরিচালনযোগ্য  ডাটাবেজ তৈরি করে সরকারের অন্যান্য সব সেবার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, এ প্রকল্পটি সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।

এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে স্যাটেলাইট ও ড্রোনের  মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করতে তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া সারাদেশের ৪৭০টি উপজেলার মৌজা পর্যায়ে জিওডেটিক সার্ভের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১০টি জিও-রেফারেন্সিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে ও ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৮টি মৌজা ম্যাপের ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হবে। এছাড়া, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় এসএ জরিপের পর আরএস জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত দু’টি জেলার ১৪টি উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত জিও-রেফারেন্স করা মৌজা ম্যাপ উপর্যুক্ত ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পে সরবরাহ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের এক শ্রেণির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, এটি এত সহজ কাজ নয়। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় জমি ব্যবস্থাপনায় অনেক সময় লেগেছে। সেখানে বাংলাদেশে ২/৪ বছরে এটি সম্ভব নয়।

অপরদিকে ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  ভূমি জরিপ কার্যক্রমটি সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজেশন করতে সময় লেগেছে ২০-২৫ বছর। ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন এ সময়ে সম্পন্ন করা জটিল। কারণ ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার বিষয়টি একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে এ প্রকল্পটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে। এ দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যাশিত সেবাগ্রহীতা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে মোবাইল বা ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে সেবা পাবেন। হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা প্রদানই প্রকল্প দু’টির মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি জানিয়েছেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করার বিষযটি বর্তমান সরকারের পুরনো অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। কাজটি যতই চ্যালেঞ্জিং হোক সরকার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবেই।’

এদিকে সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, দেশে ফৌজদারি মামলার ৮০ শতাংশেরও বেশি মামলার সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দায়ী। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে মারামারি হানাহানির পেছনেও অন্যতম কারণ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে জমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যার ক্রয় বা প্রণয়ন করা হবে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেশের ভূমি সংক্রান্ত ৫ হাজার ২৪৭টি অফিসের একসঙ্গে অনলাইন ও ইলকেট্রনিক ভূমি সেবা চালু করা সম্ভব হবে। উক্ত দফতর সমূহে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সরবরাহ করা হবে। ভূমি সংশ্লিষ্ট জনবলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানিয়েছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ১২.৩.৪(ক) নং অনুচ্ছেদ এ ভূমি সংক্রান্ত সকল প্রকার রেকর্ড প্রণয়ন ও হালনাগাদকরণের পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ভূমি ক্রয়-বিক্রয় ও রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনয়ন এবং ভূমির রেকর্ডপত্রে জনগণের সহজ প্রবেশাধিকার প্রদান করা হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সঙ্গে ভূমির নামজারি, মালিকানা, রেকর্ড, খাজনা পরিশোধ, ভূমি জরিপ এর বিষয়সমূহ ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ব্যবসা সহজীকরণে সম্পত্তি নিবন্ধন সূচকের ইতিবাচক ও দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হবে।

Share: