এবার পরীক্ষামূলক ‘রেড জোন’ হচ্ছে ওয়ারী

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগরীর ওয়ারীর নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পরীক্ষামূলক ‘রেড জোন’ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এমন তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার দুপুরে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের নেতৃত্বে জোনিং পদ্ধতি নিয়ে একটি পরামর্শক কমিটি অব্যাহতভাবে কাজ করছে। রেড জোন, ইয়েলো জোন বা গ্রিন জোন নির্ধারণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি নির্ধারণ হয় সংক্রমণ বিস্তারের সর্বাধিক ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি ও কম ঝুঁকির ওপর নির্ভর করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জোনিং পদ্ধতি স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। কাজেই স্থায়ীভাবে কোনো অঞ্চল বা এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা বা বাতিল করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু এলাকায় রেড জোন বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর ওয়ারীর নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পরীক্ষামূলক রেড জোন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পূর্ব রাজাবাজারে রেড জোন চলমান আছে পরামর্শক কমিটির গাইডলাইন অনুসারে। স্থানীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যেখানে যেমন তেমনভাবেই প্রয়োজনে রেড জোন বাস্তবায়নের কাজ চলমান।’

২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউনে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় নিয়ে সার দেশকে লাল, হলুদ ও সুবজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে গত ৯ জুন মধ্যরাত থেকে ঢাকার প্রথম এলাকা হিসেবে পূর্ব রাজাবাজারে পরীক্ষামূলক লকডাউনের কার্যক্রম শুরু হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিন দফায় মোট ১৯ জেলার ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এসব এলাকায় ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন লাল অঞ্চলে জীবনযাত্রা ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে পারবে। অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে, যানবাহন ও সাধারণের চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত কয়েকদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।

Share: