কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন শওকত ওসমানঃমৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা

মেহেদী মাসুদঃ বাংলা সাহিত্যে শওকত ওসমান এক চির স্মরণীয়  নাম। তার কাছে মানবতাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় আদর্শবোধ। তাই তার চেতনাকে ধারণ করে আপন মাটির প্রতি ঋণ পরিশোধে দায়িত্ব পালন করতে হবে সবাইকে। এভাবেই কালজয়ী লেখক শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় তার মূল্যায়ন করলেন বক্তারা।

গতকাল মঙ্গলবার শওকত ওসমানের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ। সকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল পরিষদের সভাপতি ভাষা সংগ্রামী ডা. আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে পিতার স্মৃতিচারণ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, একজন শুদ্ধ মানুষ হিসেবে সমাজে বাঁচতে হলে নিজেকে অনেক কিছু থেকে সরিয়ে রাখতে হয়। বাবা সেটা পেরেছিলেন। লোভ-লালসা ছাড়া যে মানুষ হয়, সেটা শওকত ওসমানকে না দেখলে জানা হতো না। এই মাটিতে এ রকম মানুষ আরও আছেন। আমরা তাদের চিনতে পারি না।

বয়সে এক যুগের পার্থক্য থাকলেও বন্ধু হিসেবে ‘শওকত ভাই’ ছিলেন অসাধারণ- এ কথা বলে আহমদ রফিক বলেন, তরুণদের সঙ্গে তার দারুণ সংযোগ ছিল। তিনি তরুণদের সাহস জুগিয়েছেন। লেখার প্রেরণা দিয়েছেন। বন্ধুর মতো করে তাদের সঙ্গে মিশেছেন।

আহমদ রফিক বলেন, শওকত ওসমানের রচনার বিষয় ছিল মানুষ ও মানবতাবাদ। তার সমস্ত কর্ম আবর্তিত হয়েছে বাংলার মানুষকে ঘিরে। সমাজের যে কোনো মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে। এই মাটির কাছে আমাদের যে ঋণ, সেটা সবারই শোধ করা উচিত। তিনি সেটা করেছেন। আপনাদেরও সেই ঋণ শোধ করার সময় এসেছে।

শওকত ওসমানের বর্ণিল জীবন নিয়ে কথা বলেন জাতীয় কারিকুলাম ও টেক্সট বুক বোর্ডের (এনসিটিবি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আহাম্মদ, এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল মান্নান ইলিয়াস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিপু সিদ্দিকী।

Share: