জ্বী,ডিজিটাল তেভাগা আন্দোলনের.কথা বলছিলাম।

১৯৪৬ সালে জননেতা কৃষক দরদী হাজী মহম্মদ দানেশ কৃষকের অধিকার আদায়ের জন্য যে তেভাগা আন্দোলন শুরু করেছিলেন তার অনুরণন শুনলাম ২০২৩ সালের

জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১এ’র রনাঙ্গণের লড়াকু সৈণিক শেখ ফজলুল আলম মনির স্বনামধন্য ব্যারিষ্টার-পুত্র বর্তমান ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ফজলেনূর তাপসের কন্ঠে।
বৃটিশ আমলের জমিদারদের. অন্যায়ের বিরুদ্ধে জননেতা কৃষক দরদী হাজী মহম্মদ দানেশ গর্জে উঠেছিলেন যে বীজ ও শ্রম কৃষকের আর জমিদারের কেবল জমি অতএব ফসলের দুই ভাগ পাবে কৃষক আর এক ভাগ পাবে জমির মালিক। এই ভাবে মোট ফসল তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। এই ছিল বৃটিশ আমলে যা বাংলায় তেভাগা আন্দোলন নামে আজও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে. জ্বল জ্বল করছে।
এই আন্দোলন এমনই জোরদার হয়েছিল যে জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনীর গুলিতে রংপুরের কৃষক নেতা তগনারায়ণ শহীদ হন।
আজ অনেকদিন পর তেমনি এক তেভাগা আন্দোলনের আভাস পাচ্ছি বর্তমান ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ব্যারিষ্টার- ফজলেনূর তাপসের কন্ঠে।
ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ব্যারিষ্টার- ফজলেনুর তাপসের বক্তব্যের. ক’দিন আগেই বর্তমান সরকারের. সংসদ সদস্য জনাব রহমতুল্লাহ পবিত্র সংসদ ভবনে বললেন ঢাকার নগর ভবনের টেবিল চেয়ার, বাতাস, ইটকাঠ সবাই চোর। ওই চোরদের. দলে তিনি তাঁর নাম লেখাতে চান না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধেও তিনি ঢাকা-দক্ষিণের মেয়রের পদ গ্রহণ করেননি। ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র অফিসের প্রায় সবাই কমবেশি দূর্নিতীর সাথে জড়িত।

বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বঙ্গবন্ধু এ্যাভেনিউএ ব্যবসারত দুঃখী স্বল্পআয়ের হকারদের. বঞ্চনার কথা বলতে যেয়ে ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ব্যারিষ্টার- ফজলেনূর তাপস বলেন,“এই হকার ভাইরা লাইন ম্যান ও পুলিশকে চাঁদা দিতে দিতে হয়রান। এটা মস্তবড় অন্যায়।”
এক একটা হকার ভাই মাসে কত টাকা আয় করেন, যে তাদের. থেকে এমনি ভাবে অন্যায়ভাবে চাঁদা নিতে হবে। এমনি দেশে প্রচুর শিক্ষিত বেকার রয়েছে সেখানে হকার ভাইরা নিজে নিজের ভাগ্য গড়ছেন এটা রাষ্ট্রের জন্য একটা কত বড় আশীর্বাদ। সেখানে আবর অন্যায় ভাবে চাঁদা তোলা অমানবিক।
ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ব্যারিষ্টার- ফজলেনূর তাপস তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ঢাকার মাটিথেকে আকাশ পর্যন্ত এর মালিক ঢাকা-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। হাঁটার পথ আমার, রাস্তা আমার অথচ কোন হকার কোথায় বসবে কতক্ষন বসবে তা ঠিক করে. দিচ্ছেন অদৃশ্য লাইনম্যান। আর এক সাথে জড়িত রয়েছে সবুজ রংএর পোষাক পরিহিত প্রশাষনের বিশেষ একটি বাহিনী পুলিশ বাহিনী।

এ যেন সেই ১৯৪৬ সালের তেভাগা আন্দোলনের মতো, রাস্তায় বিক্রীর সামগ্রী হকারের, সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম হকারের অথচ মাঝখানে চান্দা তুলছেন অদৃশ্য লাইনম্যান ও পুলিশ। কিন্তু অবাক কান্ড তেভাগা আন্দোলনে জমিদার পেতো বেশির ভাগ ফসল অথচ বর্তমান ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রাস্তার পুরো দায়িত্ব অর্থাৎ রাস্তার রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব তার, অথচ ঢাকা-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কোনো কিছুই পাচ্ছেন না। তাই ঢাকা-দক্ষিণের মাননীয় মেয়র ব্যারিষ্টার-ফজলেনূর তাপস বড় বেদনার সাথে বড় ক্ষোভের সাথে বলেছেন, যেখানে লাইনম্যান ও পুলিশ সারা দেশের শত শত হাজার হাজার হকার থেকে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুলছে সেখানে ঢাকা-দক্ষিণর সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা কি বসে বসে আঙুল চুষবে!!
এর একটা বিহিত আতি শীঘ্রই হওয়া উচিৎ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু…