বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:বুধবার, ০২, নভেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪৫৭তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, শিল্প উদ্যোক্তা তাসলিমা ফেরদৌস ও নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর শিল্পী

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি গবেষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও নীলফামারী জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তিনি বাংলার মানুষ কী চায়, কিভাবে তা আদায় করতে হবে তা সঠিক মুহূর্তে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পেরেছিলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধুই৷

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আর্জিনা খানম বলেন, বাঙালির জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান – বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠারও আগে থেকে রাজনীতি করতেন, এবং সেটা আওয়ামী লীগেরই রাজনীতি৷

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: ড.কলিমউল্লাহ

তাসলিমা ফেরদৌস বলেন, সারা জীবন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধু৷ দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক নেতা সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন না। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করছেন। নিজেরা চিকিৎসার জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল হন। এটা কোনভাবেই কল্যাণমুখী রাজনীতি হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এটা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।

 

আমাতুন নূর বলেন, নীতি-আদর্শের সংগ্রামে অন্য দল তো বটেই, নিজ দলের নেতাদের চেয়েও যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু৷ ১৯৩৯ সালের ১৭ই মার্চ ছাত্রাবস্থায় কারান্তরীণ হয়ে কারাগারে জন্মদিন পালন করেন বঙ্গবন্ধু।

 

প্রশান্ত কুমার সরকার,একটি জাতির পিতা গোটা জাতির সর্বাধিক অমূল্য সম্পদ। পিতার প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁর আদর্শ অন্তরে ধারণ করা এবং তা সযতনে লালন ও বাস্তবায়ন করা যেকোনো জাতির জীবনের এক অপরিহার্য।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, যেকোনো মূল্যে বাঙালি জাতির আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ফাতিমা তুজ জোহরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর গৃহীত নীতিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক ড. দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Share: