“ রহি রহি আনন্দ তরঙ্গ জাগে…
আমাদের মেয়েদের এই জয় সব বেদনা ভুলিয়ে ক্ষণিকের তরে হলেও জীবন তরীতে সুখের হাওয়ার, পরশ বুলিয়ে দিলো।
আজি রহি রহি আনন্দ তরঙ্গ জাগে, কেমন এক পাগলপারা হাওয়ার মাতামাতি যেন প্রাণের ̧মরে. মরা চেতনাকে জাগিয়ে দিলো।
মেয়েদের জয়, দেশে জয়” এতোবড় সত্য ̈ কথা নির্ভয়ে বলতে পারার. মাঝে এক অদ্ভুত আনন্দ কাজ করে। যখন ট্কোাই খ্যত, বিশ্ব
মানের কার্টুনিষ্ট র.নবী ওরফে রফিকুন নবী পর্যন্ত ভয়ে কার্টুন আঁকা ছেড়ে দিলেন, সেখানে সত্য ̈ কথা নির্ভয়ে বলতে পেরে কি বলব আমার
প্রাণের মাঝে, রহি রহি আনন্দ তরঙ্গ বাজে। কি খুশী যে লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।
যে সমাজে মেয়েরা শর্টস পরে ফুটবল খেলবে!! তাই নিয়েও কত বিব্রতকর অবস্থা সামলাতে হয়েছে।
সমাজের কিছু উটপাখীর মতো সমাজপতি কোনো আধুনিক উন্নয়ন দেখলেই ধর ধর মার মার করে. লাফিয়ে পড়তো আজ তারাও ওই
উটপাখীর মতো গর্তে মুখ লুকিয়ে পড়ে আছে। “হাফপ্যান্ট পরা বেডি, ছি ছি…” বলতে আর সাহস পাচ্ছেনা।
সাহস পাচ্ছেনা আপামর জনসাধারণের মননের বিরুদ্ধে যেয়ে লম্বা কোনো বিবৃতি দিতে।
“বিবৃতি দী হাবলিকের মাইর খামু নি, অতঁ হাগল আঁই ন…” সাধু সাধু, আপনার এই বোধদয় হওয়াতে আমরা আপনাকে অভিনন্দন
জানাই। বুঝতেই পারছেন সমাজের সং ̄‹…তির কাছে আপনারা আজীবনই মার খাবেন, গো হারা হারবেন। খেয়াল করে. দেখুন ভারতের
মতো একশ’ চল্লিশ কোটির জনগনকে বাংলার মাত্র অষ্টাাদশ কোটির দেশের মেয়েরা নাস্তানাবুদ করে ছাড়লো।
সানজিদা, সাবিনা, কষ্ণা,রুপনা,শিউলি,শামসুন্নাহার,আঁখি,মশুরা,মনিকা,মাবিয়া,জাহান, আপা আমাদের. এই হার না মানা তরুণীদের. সাথে
হেরে. গেলো আপেল আঙুর খাওয়া আধুনিক ভারতীয় নারী ফুটবল দল।
জয় বাংলা জয় গোলাম রব্বানী।
এই মেয়েরা প্রমাণ করলো ধনী হলেই সব কিছু হয় না, গোলাম রব্বানীর মতো নিবেদিত প্রাণ কোচ লাগে, আর লাগে অদম ̈ প্রাণ শক্তি।
রুপনার বাড়ীঘরের চিত্র দেখে মনে পড়ে যায় বেথেলহেমের গোশালায় প্রভু যীশুর জন্মের.কথা। হতদারিদ্রের মাঝেও প্রভুযীশু মানব কল ̈াণের
জন ̈ প্রাণ উৎসর্গ করলেন। বিশ্বজুড়ে মানবতার জয়গানে মুখরিত ভাটিকান সিটির আকাশ বাতাস।
আজ সারা বাঙলার ঘরে. ঘরে. রুপনার মতো আলো করা মেয়েদের জন্ম হোক যারা শত দারিদ্রের মাঝে থেকেও জীবনের জয় গান গাইতে
পারবে। যাঁদের. সাফলে ̈র. ধারায় আমরা কন্ঠ মিলিয়ে সাহস করে. সত্য কথা বলতে পারবো, নির্ভয়ে ওদের. জয়গান গাইতে পারবো। ভয়ে
ভয়ে বলতে হবে না , জানো চলন্ত বাসের মাঝে খাম্বা ঢুঁকে একজনের মৃত্যু হয়েছে, গাড়ীর উপর গাডার পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে,
লঞ্চডুবিতে তিনশ’ জনের সলিল সমাধি। তারপর, না তার আর পর নেই নেই কোনো ঠিকানা। পরের কথা জানতে চাইলে বড্ড ভয় করে,
কে কোথায় মন খারাপ করবে, দিবে এক মামলা ঠুঁক্।ে কান চাপাতিতে থাপ্পড় মেরে. হয়তো কানটায় ফাটিয়ে দেবে, নয়তো হঠাৎ হার্টফেল
করে. মরে. পড়ে থ্কবো। তাই পরের কথা আর জানতে চাই না।
তবে এইবার এই মেয়েদের. সাফল্যে দেশবাসী যে ভাবে অভিনন্দন জােিয়ছে সারা বিশ্বের. সকল বৃহৎ দেশের সংবাদ পত্র ও টেলিভিশনে
বাংলাদেশের সাথে সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এ গর্ব আমি রাখবো কোথায়।
তাই এই মেয়েদের ত্যাগ তিতিক্ষায় মনে বড় সাধ জাগে, হয়তো এমনি কোনো এক বেথেলহেমের গোশালায় প্রভু যীশুর জন্মের. মতো
কোনো এক মানব সন্তান জন্মাবে যার ভালোবাসায়, এই আঁখির বাবাকে যারা জমির জন ̈ ধমকেছে, তারা আর ধমকাবেন না! খাম্বার ̧তোঁয়
চলন্ত বাসে কেউ মরবেনা। সত ̈কথা বললে কেউ কাউকে ধরবেনা। আবার আমরা সবাই মিলে মিশে বাংলায় বসবাস করবো, বাঙালী হয়ে
বাঙালীকে খুন করবো না। নিজেরা নিজেরা মারামারি করবো না। জামিন বানিজ ̈ ভুলে যাবো। প্রতিদিন লাইন থেকে টাকা তুলবোনা।
মেয়েদের. এই জয় আমাকে সেই দিনের ̄^প্ন দেখায় যখন আবার রনবী ভাই নির্ভয়ে কার্টুন আঁকবে, আমরা সবাই অপেক্ষা করছি,
“এই জয়, জয় নয় আরো জয় আছে, সাবিনাদের. এই জয় নিয়ে যাবে আমাদের. সেই জয়ের কাছে…”
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু।