প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:যুক্তরাষ্ট্রের মিলিনিয়াম টিভি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.দিপু সিদ্দিকী শনিবার (১ অক্টোবর) টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে তাাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতে অংশগ্রহণের পর সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থিত মুজিব ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন,১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রম, অবদান ও ত্যাগ অসীম। সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সকলেই বঙ্গবন্ধুর দুর্দান্ত নেতৃত্বের ছাঁয়াতলে থেকে আন্দোলন সংগ্রামকে করেছেন বেগবান। সেজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আদর্শ। বঙ্গবন্ধু বাঙালির সকল কাজের অনুপ্রেরণায়, চেতনায় ও পথচলায়।বঙ্গবন্ধু নিজেই প্রেসে সাংবাদিকতা বা হকারির কাজ করেছেন। তিনি আরো বলেন,”বঙ্গবন্ধু নিজেই প্রেসে সাংবাদিকতা বা হকারির কাজ করেছেন। শত কষ্ট হলেও তিনি সংবাদপত্রকে ধ্বংস করতে চান নি।” একবার তাঁর নিজের হাতে গড়া মিল্লাত প্রেস লোকসানের মুখে পড়লে তিনি তা বিক্রির হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করেন।সহযোদ্ধাদের এক তিল পরিমাণ অবদানও স্বীকার করতে ভুলেন নি। তিনি গণমাধ্যমের পাশাপাশি গণমাধ্যম পুরোধা ব্যক্তিত্বদের অবদান লিখে রেখেছেন স্বর্ণাক্ষরে।
বঙ্গবন্ধুর পুরোজীবনে গণমাধ্যমের প্রভাব রয়েছে বলা যেতে পারে। তিনি নিজে যেমন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনি অন্যদের প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছেন। পৃথিবীর কোন নেতা এমন করে গণমাধ্যমের প্রতি আস্থা রেখে জনগণের কল্যাণে ও দেশের মুক্তি সংগ্রামে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অগ্রে রেখেছেন বলে আমাদের জানা নেই। তাই কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে সর্বাগ্যে ইউএসএ’র একটি গণমাধ্যম ‘এমটিভি’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে সর্বাগ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তাঁকে যে স্মরণ করতেই হবে।
এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু কমিশনের চেয়ারম্যান ও মিলেনিয়াম টেলিভিশনের পরিচালক ও স্বপ্নদ্রষ্টা ড. রাব্বি আলমের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সফরসঙ্গী হিসেবে রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক ও তার সহধর্মিনী ডা. বায়েজিদা ফারজানাসহ গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন।