প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মোৎসব উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪২০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক আবু সালেক খান এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা তাসলিমা ফেরদৌস ও রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডেপুটি ডিরেক্টর ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা. বায়েজিদা ফারজানা এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করেছিলেন। তিনি বলেন,১৯৭৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, তাঁর এই স্পষ্ট ও সুদৃঢ় ভাষণই সদ্যস্বাধীন একটি দেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য ভুক্ত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সালেক খান বলেন, শুধু কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে গেলেই হবে না । বিজ্ঞানমনস্ক এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার সঠিক সংজ্ঞা নিরূপণ পূর্বক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা সম্পন্ন নাগরিক তৈরিতে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।
তাসলিমা ফেরদৌস বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত পথে আমাদের রাজনৈতিক মুক্তি। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজে বাঁচো এবং সবাইকে নিয়ে বাঁচার প্রবণতা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, কর্মমুখী শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে।
গবেষক মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় করে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একটি অভিন্ন সিজিপিএ পদ্ধতি আরোপ করা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ফারহানা আকতার , “২০২২-২০২৩ শিক্ষানীতিতে উল্লেখযোগ্য কিছু সংযোজন -বিয়োজনের কথা তুলে ধরেন।
শিক্ষানীতিতে “শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ” সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমুহে সকল বিষয়ের সিলেবাসে কমন সাবজেক্ট হিসেবে মনীষীদের জীবনী পাঠ্য হিসেবে সংযুক্ত করার দাবি জানান।একটি দেশপ্রেমিক, শিক্ষিত,স্বশিক্ষিত ও অসম্প্রদায়িক তথা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনার আদর্শে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরী করতে হলে আমাদেরকে ‘২০২২-২০২৩ সালের শিক্ষানীতি’ বাস্তবায়নের পূর্বে “বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা তথা ড.কুদরত -ই-খুদা শিক্ষানীতির ভিত্তিতে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি স্বাধীন শিক্ষা কমিশন তৈরী করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন আমেরিকার মিলেনিয়াম টিভির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যন্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার,রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক এবং
সর্বকনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএএফ শাহীন কলেজের ইংলিশ ভার্সন টিউলিপ শাখার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও জানিপপের শিশু বিভাগের পর্যবেক্ষক শাদাব হাসিন ।