প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: রবিবার, সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৪১২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা তাসলিমা ফেরদৌস ও নারী উদ্যোক্তা আমাতুন নূর ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, সিটিজেন ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল,কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে হুমায়ুন কবির ও পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাস্তববাদী ছিলেন । কারো কথায় প্রভাবিত হতেন না। তিনি সর্বদা নিজ বিচক্ষণতা দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করেই কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা শোষিতের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। তিনি সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। মানুষের উপকারে ব্যস্ত থাকতেন। জনগণের সেবক হিসেবেই বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁকে হারিয়েছি। আরো দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, তাঁর প্রকৃত অনুসারী নেতৃত্ব থেকেও আমরা বঞ্চিত। জাতি- অদ্যাবধি সোনার বাংলায় সোনার মানুষ খুঁজছে। খুঁজছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত নেতৃত্ব।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন আইকনদের নিয়ে মিডিয়ায় ফলাও ভাবে প্রচার হলেও বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী শেখ কামালকে নিয়ে তেমনভাবে ইতিবাচক কোন প্রচার লক্ষ্য করি না। অথচ দৃষ্টান্তমূলক অনেক মানবিক ও শিক্ষনীয় উদাহরণ রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর তনয় শেখ কামাল। উপরন্তু তাঁদেরকে নিয়ে মিথ্যার বেসাতি করে বেড়িয়েছে কুচক্রী মহল।

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বাস্তবায়ন করার একমাত্র সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ।
আমাতূন নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অস্তিত্বের প্রতীক।
ফারহানা আক্তার, মধ্যযুগীয় রাজন্যবর্গের শাসনামল নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং বিকৃত ইতিহাস থেকে সাবধান থাকতে হবে।
হুমায়ুন কবির বলেন, গণতন্ত্রের নামে যেমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ দেখতে চায়না। তেমনিভাবে নিজ নিজ দলেও প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা দেখতে চায় জনতা।

মোশফিক কাজল বলেন, জানিপপ জানালা খুলে দিয়েছে। সেই জানালা দিয়ে আমরা যেন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাই,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে দেখতে পাই।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, টাংগাইলের ধনবাড়ি থেকে মীর রাকিবুল ইসলাম,রাজশাহী থেকে ডা. এবিএম মাহাবুবুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বায়েজিদা ফারজানা।