বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে: ড.কলিমউল্লাহ   

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:বুধবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেনইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র বোর্ড মেম্বার অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।

 সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মুশফিক কাজল, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী, নীলফামারীর জল ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা, যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর শোকের মাস আসার পূর্বেই এই নিকৃষ্ট হত্যাকারীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে। বন্ধু-প্রতীম রাষ্ট্রগুলো নিশ্চয়ই পালিয়ে থাকা আসামিদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ‘ছয় দফার’ মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধিকারের সাঁকো দিয়েছিলেন, আর ৭ই মার্চের অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেই সাঁকোকে স্বাধীনতার স্বপ্নসেতুতে রূপান্তরিত করেছিলেন। একাত্তরের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

আব্দুস সাত্তার দুলাল

বঙ্গবন্ধু যেন এক বিস্ময়কর কবিতা পাঠ করেছিলেন! তিনি রাজনীতির কবি। আব্রাহাম লিংকন, চার্চিল, মহাত্মা গান্ধী বা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো মহান নেতাদের ঐতিহাসিক ভাষণের মতোই গুরুত্ব বহন করে এই ভাষণ। যেই কারণে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্রের ঐতিহ্যের তালিকায় স্হান পেয়েছে। বাঙালি জনতা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছে সেই ভাষণ। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই বলতেন। তাঁর ব্যবহারিক জীবনেও তা প্রতিফলিত । আমাদের উচিত বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে রাজনীতি করা।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ ছিল মানব সৃষ্ট। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের ফলে দুর্ভিক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল । বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রতকর এবং নবসৃষ্ট রাষ্ট্রটিকে অস্থিতিশীল করার জন্যই পরাজিত চক্র বিদেশী শক্তির সহযোগিতায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।

আর্জিনা খানম

আর্জিনা খানম বলেন, অন্তরে নয় শুধু মুখে বঙ্গবন্ধু বন্দনা করে স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী লুটপাটের নেশায় উন্মত্ত। তারা বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রীর উন্নয়নের ফলকে কলঙ্কের তিলক এঁটে দেয়ার চেষ্টা করছে। এইসব সুবিধাবাদী চক্রকে চিহ্নিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার, সিরাজগঞ্জ থেকে মিস হ্যাপি ।

Share: