বঙ্গবন্ধু বর্ণবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ   

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার, সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৭১তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিজানুর রহমান ও রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার, বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার ।

এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্ণবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জনাব কলিমুল্লাহ বলেন, ‘আমার দেখা নয়াচীন’গ্রন্থের ৪২ পৃষ্ঠায় তৎকালীন সময়ের তরুণ নেতা শেখ মুজিব কৃষ্ণাঙ্গদের সমস্যা নিয়ে লিখেছেন।

তিনি আরো বলেন,যদিও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচার তাঁর দেশের সমস্যা ছিল না। তবুও তিনি বিবেকের তাড়ণায় সে ব্যাপারটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছেন। এখানে তিনি একজন বিশ্ব নেতার মতোই আচরণ করেছেন। মূলত বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ সালেই বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন,হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি। রাজনীতিকে তিনি সৃষ্টিশীল চেতনা দিয়ে নিজের হাতে আকার দিয়েছেন। পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙালী জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। জনাব দুলাল বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব একটি অস্থির সময় পার করছে। বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে আমেরিকার মতো একটি মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা না দিয়ে কূটনৈতিক কৌশলে বাস্তব সম্মত সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

মিজানুর রহমান বলেন,১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছিলেন জাতি গঠনে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ মূল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। দেশের অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টরের মতো পর্যটনশিল্প নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। সেই বঙ্গবন্ধুকে কতিপয় বিপথগামী পাকিস্তানি প্রেতাত্মা নির্মমভাবে হত্যা করে ।জাতিকে পিতৃহীন করলেও জাতির পিতার স্থান বাঙালি হৃদয় থেকে মুছে দিতে পারেনি। মুছে দিতে পারেনি জাতির পিতা আদর্শ।

গবেষক ফারহানা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুধাবন না করতে পারলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংহত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শনের সঙ্গে আমাদের শিক্ষানীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র রয়েছে।

গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে ছিনিয়ে আনেন মহান বিজয়। তারপর থেকে তিনি যুক্ত হন আরেক সংগ্রামে।

যার মূলমন্ত্র ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠন। তিনি এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার।

Share: